মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুকের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
কাতালগঞ্জের বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক শহীদুল আলমকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শহীদুল আলম কোনো ইনভয়েস এবং বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। নিজেদের ইচ্ছে মতো দাম বাড়িয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও মিটারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি বিক্রি করছিল তার প্রতিষ্ঠান।
“এমনকি তাদের বিক্রির ক্যাশমেমোর কার্বন কপিতে কোনো টাকার অংক ও ক্রেতার নাম-ঠিকানা কিছুই লেখা ছিলনা। তাদের গোডাউনে অনেক সিলিন্ডার মজুদ থাকলেও ক্রেতাদের কাছে সিলিন্ডার নেই বলে জানায়। ক্রেতাদের অভিযোগ ছিল, সিলিন্ডার নেই বললেও ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করলে বেশি দামে বিক্রি করত তারা।”
ওই প্রতিষ্ঠান সিলিন্ডার প্রতি ১০-১৫ হাজার টাকা এবং মিটার প্রতি তিনহাজার টাকা বাড়তি নিচ্ছিল বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক।
তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই মহামারীতে অক্সিজেন সিলন্ডারসহ চিকিৎসা সামগ্রীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।
অভিযান চলার সময় অক্সিজেন সিলিন্ডারের কয়েকটি দোকান বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম বলেন, “কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে চট্টগ্রামে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী অক্সিজেন সিলিন্ডারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি লাভের আশায় দাম বাড়িয়ে মানুষকে জিম্মি করছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।”
এর আগে সোমবারও নগরীতে অভিযান চালিয়ে বেশি দামে সিলিন্ডার ও নেবুলাইজার বিক্রির অভিযোগে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট দুই লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।