শনিবার রাতে বাগান বাজার ইউনিয়ন থেকে বানরটি উদ্ধারের পর তা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নেওয়া হয়েছে কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চার বছর বানরটি মোটামুটি সুস্থ। এর উচ্চতা দেড় ফুটের মত, ওজন দেড় কেজি। এটি একটি পুরুষ লজ্জাবতী।
এ নিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় লজ্জাবতী বানরের সংখ্যা হলো তিন। এর আগে এপ্রিলে আরেকটি পুরুষ লজ্জাবতী উদ্ধার হয়।
“এরপর স্থানীয়রা সেটিকে ধরে খাঁচায় আটকে রাখে। বানরটির শরীরে অল্প আঘাতের চিহ্নও দেখেছি। খবর পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানাই।”
ফটিকছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সায়েদুল আরেফিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উনার কাছ থেকে খবর পেয়ে বন বিভাগকে জানাই।
গত সপ্তাহে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর এলাকা থেকে একটি বড় আকারের রেসাস বানর উদ্ধার করে স্থানীয় প্রশাসন।
লজ্জাবতী (বেঙল স্লো লরিস) বানর ছোট আকারের। স্তন্যপায়ী শ্রেণির লরিসিডি পরিবারের সদস্য এই বানর বাংলাদেশের বন্য প্রাণি আইনের তফসিল-১ অনুসারে সংরক্ষিত প্রাণি।
এর বৈজ্ঞানিক নাম Nycticebus bengalensis। নিশাচর এই বানর দিনের বেলায় গাছের উঁচু ডালে নিজেদের আড়াল করে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে।
এরা নিশাচর। দিনের বেলা লোকালয়ে আসে না। সিলেট ও চট্টগ্রামের গভীর পাহাড়ি বনে এদের দেখা যায়। এরা কচি পাতা, পোকা-মাকড়, পাখির ডিম খেয়ে থাকে।