স্যাভলনের দাম ২২০ টাকা, বিক্রি হচ্ছিল ৪৬০ টাকায়

চট্টগ্রামে বাড়তি দামে জীবাণুনাশক দ্রব্য বিক্রি ও গুদামজাতের অপরাধে দুই দোকানিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2020, 09:17 PM
Updated : 6 June 2020, 09:21 PM

শনিবার বিকালে কোতোয়ালি থানার হাজারী গলিতে এ অভিযান চালানো হয়।

গ্রেপ্তার দুই জন হলেন- সুবাস দেব (৪২) ও শুভ দে (২২)।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে জীবাণুনাশক দ্রব্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অসাধু কিছু ব্যাবসায়ী তার সুযোগ নিয়েছে। তারা স্যাভলন, হেক্সিসলসহ বিভিন্ন ধরনের স্যানিটাইজার গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

“এ কারণে আমরা পাইকারি ওষুধের দোকান হাজারিগলিতে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করি। ক্রেতারা দোকানে গিয়ে স্যাভলন জাতীয় জীবাণুনাশক কিনতে চাইলে সংকট দেখিয়ে নাই বলে থাকেন। কিন্তু গায়ের দরের অতিরিক্ত টাকায় ক্রেতারা রাজি থাকলে গুদাম থেকে বের করে দেন।”

এডিসি রউফ বলেন, “শুভ ছোট একটি দোকান চালায় হাজারি গলিতে। আর সুবাস হাজারি গলির জহুর শপিং মার্কেটের ইমন মেডিকোর মালিক। শুভ অতিরিক্ত দামে ক্রেতা ঠিক করে ইমন মেডিকো থেকে মাল এনে বিক্রি করে।”

তিনি জানান, এক লিটারের স্যাভলন বোতলের গায়ে ২২০ টাকা লেখা থাকলেও তা ৪৬০ টাকায় বিক্রি করছে। আর হেক্সল নামে আরেকটি জীবাণুনাশকের বোতলে ২০০ টাকা লেখা থাকলেও বিক্রি করছেন ২৫০ টাকায়।

অভিযানে এক লিটারের ১৭৪ বোতল হেক্সল, এক লিটারের পাঁচ বোতল ও আধা লিটারের ১২ বোতল স্যাভলন জব্দ করা হয়েছে বলে জানান কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন।

গ্রেপ্তার দুই জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি।

এদিকে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ওষুধ বিক্রি বা ওষুধ মজুদ করলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে সিএমপি।

জনসংযোগ শাখা থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিএমপি মহানগরীর কোন ফার্মেসিতে কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) বা অন্য যে কোনো ধরনের রোগের ওষুধের দাম নির্ধারিত মূল্যের চাইতে যদি কেউ বেশি মূল্যে বিক্রি করতে চায় বা দাবি করে তা নিকটস্থ থানার ওসি বা হটলাইনে (০১৮ ৮০ ৮০ ৮০ ৮০) জানাতে বলেছে।