চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে চট্টগ্রামে মহাবিপদ সংকেত জারি হওয়ার পর বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2020, 08:24 AM
Updated : 20 May 2020, 08:27 AM

চট্টগ্রাম বন্দরে বুধবার সকাল থেকে ‘চার মাত্রার সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে জানিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত।”

তিনি বলেন, “বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম একেবারেই বন্ধ আছে, জেটি থেকে সব জাহাজ নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যন্ত্রপাতিও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। বর্হিনোঙ্গরে অবস্থানরত সব বড় জাহাজকে গভীর সমুদ্রে নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

বন্দর ইয়ার্ড থেকে কন্টেইনার ডেলিভারি এখনো খুবই সীমিত আকারে চালু থাকলেও তা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান জাফর আলম।

তিনি বলেন, “সব লাইটারেজ জাহাজ শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে নোঙ্গর করে রাখতে বলা হয়েছে, বন্দর চ্যানেল ক্লিয়ার রাখা হয়েছে।” 

বুধবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম ও এর আশেপাশের এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা, থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, সঙ্গে বইছে হালকা বাতাস।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন মহানগরী ও বিভিন্ন উপজেলার উপকূলীয় নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে। স্থানীয়ভাবে মাইকিং করাসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেন বলেন, “ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত। উপকূলীয় এলাকায় সকল আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। কিছু লোক সরিয়ে আনছি। চেষ্টার পরও অনেকে নিজের বাড়িঘর থেকে সরতে চান না। এর মধ্যেও প্রশাসনের চেষ্টায় অনেকেই সরে এসেছেন।”

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগর, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। ছবি: সুমন বাবু

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, সকল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা কাজ করছেন উপকূলবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য। সন্দ্বীপ উপজেলা থেকেও লোকজনকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রামে আশ্রয়কেন্দ্রসহ স্কুল-কলেজের পাকা স্থাপনা মিলিয়ে চার হাজারের মত স্থাপনা খুলে রাখা হয়েছে উপকূলবাসীর জন্য। এছাড়া লোকজনকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং চলছে।

মঙ্গলবার বিকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত নগরীর উত্তর ও দক্ষিণ কাট্টলী, বন্দর এবং পতেঙ্গা এলাকার লোকজন সরিয়ে নিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘অভিযান’ চালানো হয় বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম।

চট্টগ্রামের উপকূলবর্তী ছয়টি উপজেলা সন্দ্বীপ, মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা, বাঁশখালী ও কর্ণফুলীকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় এসব এলাকার বাসিন্দাদেরও সরিয়ে নেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা।