মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে করা নমুনা পরীক্ষায় তাদের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
আক্রান্তদের মধ্যে আছেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, দুইজন সাংবাদিক এবং সাতজন পুলিশ সদস্য।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির জানান, মঙ্গলবার বিআইটিআইডিতে ২৬২টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে ৫৮ জনের। চট্টগ্রাম জেলায় ৫৪ এবং নোয়াখালীর এক ও লক্ষ্মীপুর জেলায় তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন।
চট্টগ্রামের আক্রান্তদের মধ্যে মহানগরীর ৪৪ এবং বিভিন্ন উপজেলার ১০ জন আছেন। উপজেলা পর্যায়ে রাউজানে এক, হাটহাজারীতে এক, বাঁশখালীতে দুই, সীতাকুণ্ডে পাঁচ ও ফটিকছড়িতে একজন আছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৯৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৭৫ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী।
তিনি জানান, আক্রান্তদের মধ্যে কক্সবাজারের একজন এবং বাকি ৭৪ জন চট্টগ্রামের বাসিন্দা। চট্টগ্রামের আক্রান্তদের মধ্যে মহানগরী এলাকার ৭১ জন এবং উপজেলা পর্যায়ের তিনজন আছেন।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে এদিন চট্টগ্রামের নয়টি নমুনা পরীক্ষা করে লোহাগাড়া উপজেলার একজনের করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে।
সিভাসু ল্যাবে মোট ৭০টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার তিনজন এবং রাঙামাটির ১৭ জন আছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার জানান, আক্রান্তদের মধ্যে রাউজানের উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল রয়েছেন।
অপর আক্রান্তদের মধ্যে সমকাল চট্টগ্রাম ব্যুরোর একজন সিনিয়র সহ-সম্পাদক ছাড়াও ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির চট্টগ্রাম অফিসের একজন ক্যামেরাম্যান ও তাদের গাড়িচালক আছেন।
এদিকে মঙ্গলবার নগর পুলিশের সাত সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন বলে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) আবু বক্কর সিদ্দিক জানিয়েছেন।
তিনি জানান, আক্রান্তদের মধ্যে বাকলিয়া থানার পাঁচ পুলিশ সদস্য, দামপাড়া পুলিশ লাইনের একজন এবং মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের একজন রয়েছেন।
এ নিয়ে পুলিশ আক্রান্ত হলেন ৭৭ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১ জন এবং মারা গেছেন এক পুলিশ সদস্য।
এদের নিয়ে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৭৭ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪১ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২০ জন।