চট্টগ্রামে আরও তিন সাংবাদিকসহ আক্রান্ত ৫৪

চট্টগ্রামে একদিনে তিন সাংবাদিক ও তিন ‍পুলিশসহ ৫৪ জনের করোনাভাইরাসে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2020, 07:24 PM
Updated : 18 May 2020, 07:24 PM

সোমবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে করা পরীক্ষায় ৫৪ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী।

ফৌজাদারহাটের বিআইটিআইডি ল্যাবে সোমবার ১২৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৭ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির।

চট্টগ্রামের ২৭ জনের মধ্যে মহানগর এলাকার ২১ জন এবং পটিয়া, চন্দনাইশ, মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী ও বাঁশখালী উপজেলার একজন করে রয়েছে।

সিভাসু ল্যাবে এদিন ৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া যায় ২৪ জনের। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলার দুইজন এবং চট্টগ্রামের ২২ জন আছেন। চট্টগ্রামের ২২ জনই বিভিন্ন উপজেলার। এর মধ্যে পটিয়ায় আটজন, সীতাকুণ্ডে সাত, হাটহাজারীর ছয় এবং কর্ণফুলী উপজেলার একজন আছেন।

এছাড়া এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রাম জেলার ২৪টি নমুনা পরীক্ষা করে পাঁচজনের করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে জেলা সিভিল সার্জন ফজলে রাব্বী জানান। চট্টগ্রামের পাঁচজনই লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা।

সোমবার আক্রান্ত হওয়াদের মধ্যে দুটি টেলিভিশন স্টেশনের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের তিনজন সাংবাদিক রয়েছেন।এদের মধ্যে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের দুজন এবং ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির একজন রয়েছেন।

চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ব্যুরো প্রধান কামাল পারভেজ জানান, তাদের দুই সংবাদকর্মীর অবস্থা স্থিতিশীল আছে এবং তারা বাসায় আইসোলেশনে আছেন।

আক্রান্ত অপর সাংবাদিকও বাসায় আইসোলেশনে আছে বলে তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন। চট্টগ্রামে এ নিয়ে সাংবাদিক আক্রান্ত হলেন ছয়জন। 

এদিকে সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের তিন সদস্যের নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে অতিরিক্ত উপকমিশনার আবু বক্কর সিদ্দিক জানিয়েছেন। এর বাইরে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের একজন সদস্যও আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসেব মতে, সোমবার পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ৮৪৫ জনে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১১জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের।