রোববার ফৌজদাহরহাটের বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সাইয়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী জানান, ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি ল্যাবে রোববার ২৪৭ নমুনা পরীক্ষায় ৪১ জনের করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ এসেছে।
এর মধ্যে চট্টগ্রামের ৪০ জন এবং লক্ষীপুর জেলার একজন। চট্টগ্রামের ৪০ জনের মধ্যে মহানগরী এলাকার ২৩ জন।
সিভিল সার্জন জানান, চট্টগ্রামের তিনজন পুরনো রোগীর ‘পজিটিভ’ এসেছে। সে হিসেবে, এই ল্যাবে নতুন শনাক্ত রোগী ৩৭ জন।
চমেক ল্যাবে এদিন ১৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ এসেছে ৩৪ জনের। এর মধ্যে কুমিল্লা জেলার একজন এবং চট্টগ্রামের ৩৩ জন। চট্টগ্রামের মধ্যে মহানগরীতে ৩১ এবং বিভিন্ন উপজেলার দুইজন।
চমেক ল্যাবে করা পরীক্ষায় পুরনো তিন রোগীর আবারও ‘পজিটিভ’ এসেছে। সে হিসেবে সেখানে নতুন শনাক্ত রোগী ৩০ জন।
সিভিল সার্জন জানান, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে রোববার চট্টগ্রাম জেলার ছয়জনের নমুনায় করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ এসেছে। এদের সবাই লোহাগাড়া উপজেলার।
সিভাসু ল্যাবে ৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করে পজিটিভ পাওয়া গেছে ১২জনের। তবে এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার কেউ নেই।
চট্টগ্রামের আক্রান্ত ৭৩ জনের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন বলে জানান চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-কমিশনার আবদুল ওয়ারিশ।
তার তথ্যমতে, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ৬৪জন সদস্য এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন।
চট্টগ্রাম জেলায় রোববার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ৭৮৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০০ জন এবং মারা গেছেন ৩৬ জন।