সোমবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে তারা ছাড়া পান।
তাদের দুজনের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস নেগেটিভ এসেছে বলে বিআইটিআইডি পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন।
এ দুজেই পুরুষ। এদের একজন নগরীর ফিরিঙ্গি বাজারের শিব বাড়ি লেইনের বাসিন্দা (৫৫)। অন্যজন আকবর শাহ থানাধীন গোলপাহাড় এলাকার আবদুল আলী হাটের সবজি বিক্রেতা (৩৫)।
ডা. হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কয়েকদফায় ওই দুই ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। সে কারণে তারা সুস্থ থাকায় তাদের রিলিজ দেওয়া হয়েছে।”
এই দুজন আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১০ এপ্রিল তাদের নমুনাতে নতুন করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছিল। এরপর তাদের বাড়ি ও আশেপাশের এলাকা অবরুদ্ধ করা হয়।
পরদিন ১১ এপ্রিল দুইজনকেই ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়।
বিআইটিআইডির আসোলেশন ওয়ার্ডে সোমবার পর্যন্ত ছয়জন রোগী ভর্তি ছিলেন, তাদের মধ্যে চারজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত।
অন্যদিকে চট্টগ্রামের জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ৩২ জন, এদের মধ্যে কোভিড-১৯ রোগী ২৬ জন।
আরও এক রোগী শনাক্ত
ফৌজদারহাটে বিআইটিআইডিতে করা সোমবারের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তিনি ফেনী জেলার বাসিন্দা এবং ৩৫ বছর বয়েসী পুরুষ।
এদিন বিআইটিআইডির ল্যাবে মোট ১২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির।
এনিয়ে বিআইটিআইডিতে মোট এক হাজার ৫৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হল। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের ৭১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার ৩৯ জন।
চট্টগ্রামে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন পাঁচজন।
র ল্যাবে ১৪৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে ৭০ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ৩৯জন। বাকিগুলো চট্টগ্রাম বিভাগের অন্যান্য জেলায়।
এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় করোনা আক্রান্ত মারা গেছেন পাঁচজন।