চট্টগ্রামে এক ব্যাংকের শাখা অবরুদ্ধ

কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার সহকর্মী ব্যাংকে যাওয়ায় ব্যাংক এশিয়ার চট্টগ্রামের একটি শাখা অবরুদ্ধ করে এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টিনে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2020, 11:44 AM
Updated : 9 April 2020, 12:13 PM

বৃহস্পতিবার দুপুরে বেসরকারি ব্যাংকটির আন্দরকিল্লা শাখার ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়ার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ শাখাটি ‘লকডাউন’ করে দেয়।

কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তি ব্যাংক এশিয়ার আন্দরকিল্লা শাখায় কাজে গিয়েছিলেন।

“সে কারণে নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ব্যাংকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোয়ারেন্টিনে যেতে বলা হয়েছে।”

ব্যাংক এশিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আন্দরকিল্লা শাখার প্রধান আলী তারেক পারভেজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কোভিড-১৯ আক্রান্ত পোশাক কারখানার ওই কর্মকর্তা গত ২৫ মার্চ তার অফিসের কাজে ব্যাংকে এসেছিলেন। গত ৫ এপ্রিল তার এক সহকর্মীও ব্যাংকে এসেছিলেন।

“এই কারণে আমাদের শাখার সব কর্মকর্তা, কর্মচারীকে কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়। যেহেতু গত ৫ এপ্রিল ব্যাংকের ১৫ জন সবাই ব্রাঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, সেজন্য পুরো শাখা লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।”

আগামী ১৪ দিন আন্দরকিল্লা শাখায় কোনো কার্যক্রম চলবে না বলে জানান ব্রাঞ্চ প্রধান আলী তারেক।

করোনাভাইরাসের মহামারী ঠেকাতে দেশে সাধারণ ছুটি চললেও ব্যাংকগুলো সীমিত সময়ের জন্য খোলা রাখা হয়েছে।

একদিন আগে ঢাকার অগ্রণী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা আক্রান্ত হওয়ায় একটি শাখা অবরুদ্ধ করা হয়। এই সময়ে কাজ করতে গিয়ে ব্যাংকাররা আতঙ্কে রয়েছেন।

ব্যাংকে এখন গ্রাহকদের নিয়ে এমন সতর্কতা অবলম্বন করা হলেও ঝুঁকি থেকেই যায়। (ফাইল ছবি)

বুধবার চট্টগ্রাম নগরীতে দুজন এবং সীতাকুণ্ড উপজেলার একজন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়। তাদের মধ্যে একজন উত্তর কাট্টলী এলাকার একটি পোশাক কারখানার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমার্শিয়াল অফিসার।

আকবরশাহ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, আক্রান্ত ওই ব্যক্তি কারখানার ব্যাংকিং ও অন্যান্য কাজ দেখাশোনা করেন। তার সাথে সরাসরি কাজ করা পাঁচজনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

ওই ব্যক্তি গত ১ এপ্রিল কোম্পানির কাজে বিজিএমইএ কার্যালয় ও ব্যাংকে গিয়েছিলেন। সেখানেও তার আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানিয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

এদিকে খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, খুলশী এলাকায় অবস্থিত গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, চট্টগ্রাম কার্যালয় ভবনের চতুর্থ তলায় আক্রান্ত ব্যক্তি অফিসের কাজে গিয়েছিলেন।

সেজন্য সে ফ্লোরে যারা কাজ করেন তাদেরকেও কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।