বুধবার এক ফেইসবুক পোস্টে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার এক নারীকে সন্তান প্রসবের পরদিন মৃত সন্তানসহ হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা জানিয়েছেন তিনি।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, অসহায় ওই মায়ের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা দেন-দরবার করতে হয়েছে তাকে। পরে আবার ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তারা।
‘এমন ভয়ানক দুর্যোগেও আমরা অমানবিক কেন’- পোস্টে এই প্রশ্ন করলেও ওই হাসপাতালের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
“এরপর তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে আমার সাথে কথা বললে পাঁচলাইশ মডেল থানা থেকে একটি মোবাইল টিম পাঠাই। আমি কথা বলি দায়িত্বশীল পর্যায়ে। দীর্ঘ ৫-৬ ঘণ্টা একটানা চেষ্টার পর ওই নারীকে ওই হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করা সম্ভব হয়। ওই ৫-৬ ঘণ্টা ওই নারী পাঁচ মাসের অপরিণত মৃত সন্তান নিয়ে ওই হাসপাতালের দ্বারে ঘুরেছিলেন।পাশে ছিল পুলিশ। আমরা তাকে সহায়তার চেষ্টা করেছি।এমন ভয়ানক দুর্যোগেও আমরা অমানবিক কেন? ”
পরে ওই নারীর সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আনুমানিক ২২ বছর বয়সী ওই নারীর স্বামী দিনমজুর। তার শ্বশুর বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশায়।
ওই নারীর ভাষ্য মতে, বিয়ের পর গত রোববার প্রথম তার স্বামীর বাড়িতে যান। সেখানে স্বামীকে তিনি পাননি।
“কিন্তু শাশুড়ি ও ভাসুর মিলে তাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। প্রতিবেশী একজনের সহায়তায় ওই দিন গভীর রাতে তিনি নগরীতে এসে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন,” বলেন ওসি আবুল কাশেম।