মাঠে সারি সারি ত্রাণের প্যাকেট, নেই কোনো হুল্লোড়

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে কর্মহীন হয়ে পড়া দরদ্রিদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে অভিনব পন্থায় জনসমাগম এড়িয়েছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2020, 02:46 PM
Updated : 1 April 2020, 02:47 PM

মঙ্গলবার উপজেলার দুর্গম মনাই ও সোনাই ত্রিপুরা পল্লীতে ত্রাণ বিতরণে ছিল না কোনো হুড়োহুড়ি কিংবা জটলা।

এদিন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দুই গ্রামের ১০৭টি পরিবারের জন্য দেওয়া হয় ত্রাণ সহায়তা।

সন্ধ্যার আগে দুই গ্রামের মাঝে একটি শুকনো বিলে সারি সারি করে সাজিয়ে রাখা হয় ত্রাণের প্যাকেট। পরে গ্রাম দুটির প্রতি পরিবার থেকে একজন করে করে এসে একটি করে প্যাকেট নিয়ে যান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সুবিধাবঞ্চিত ওই এলাকার ১০৭ পরিবারকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ত্রাণের বিষয়টি। তাদের বলা হয়েছিল প্রতি পরিবার থেকে একজন করে গিয়ে যেন প্যাকেট নিয়ে আসে।

“সন্ধ্যা নামার আগে তিন থেকে চার ফুট দূরত্বে সাজিয়ে রেখেছিলাম প্যাকেটগুলো। দূরে অবস্থান নিয়েছিল উপজেলা পরিষদের সদস্যরা। তারা সবাই নিজেদের মতো করে ত্রাণের প্যাকেটগুলো নিয়ে যায়।”

ইউএনও জানান, তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতি পরিবারের জন্য পাঁচ কেজি চাল ও এক কেজি করে ডাল দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ে। পরবর্তীতে তাদের জন্য আরও সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

চট্টগ্রাম শহরের লাগোয়া হাটহাজারী উপজেলার পাহাড়ী দুর্গম এলাকা মনাই ও সোনাই ত্রিপুরা পল্লী বছর দুয়েক আগে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল হামে আক্রান্ত কয়েকটি শিশুর মৃত্যুর ঘটনায়।