কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ফৌজদারহাটে হবে বিশেষায়িত হাসপাতাল

নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তদের চিকিৎসায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে বিশেষায়িত হাসপাতাল করতে যাচ্ছে নাভানা গ্রুপ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2020, 08:57 AM
Updated : 1 April 2020, 08:57 AM

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আফতাব অটোমোবাইলসের জায়গায় ১২ হাজার বর্গফুটের একটি অবকাঠামোতে এ হাসপাতাল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জায়গাটি চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস শনাক্তের একমাত্র পরীক্ষাগার বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) এর খুবই কাছে।

প্রাথমিকভাবে ৬০ থেকে ৭০ শয্যার হাসপাতালটি তৈরি করা হবে যেটি হবে পুরোপুরি আইসোলেশন হাসপাতাল। এটি নির্মাণের বাস্তবতা দেখার জন্য চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মঙ্গলবার জায়গাটি পরিদর্শনও করেছেন।

এপ্রিলের মধ্যেই হাসপাতালটি চালু করা যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের আশা। 

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শিক্ষক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বিদ্যুৎ বড়ুয়ার নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে থাকা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ইচ্ছা থেকে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা কয়েকজন চিকিৎসক করোনাভাইরাসের বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে একটি হাসপাতাল করার চিন্তা করি। সম্প্রতি এ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর নাভানা গ্রুপ তাদের জায়গায় এ বিশেষায়িত হাসপাতাল করার বিষয়ে এগিয়ে আসে।

“করোনা সাসপেক্ট রোগীদের মানসিক চাপ কমিয়ে স্বস্তি দিতে এ উদ্যোগ। শিল্প গ্রুপ নাভানা প্রাথমিকভাবে জায়গা ও অবকাঠামো দিয়ে সহযোগিতা করছে।”

বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, “এটি মূলত করোনার আইসোলেশন ফিল্ড হাসপাতাল হবে। প্রাথমিকভাবে ৬০ থেকে ৭০ জন রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এটি পরিচালনার অর্থ সাহায্য আসতে পারে।”

প্রাথমিকভাবে হাসপাতালটিতে আইসোলেশন বেডে চিকিৎসা দেওয়া হলেও রোগের প্রকোপ বিবেচনায় আইসিইউ বেড সংযুক্ত করা হতে পাওে বলেও জানান তিনি।

নাভানা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আফতাব অটোমোবাইলসের জেনারেল ম্যানেজার আরফাদুর রহমান বলেন, “করোনাভাইরাস মহামারী রোধে আমরা চট্টগ্রামে আইসোলেশন ফিল্ড হাসপাতালটি করার প্রস্তাব দিই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।

“ফৌজদারহাটে ১২ হাজার বর্গফুটের জায়গাটি খালি পড়ে ছিল। সেখানে নাভানার পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে অবকাঠামো ও ইউটিলিটি সহযোগিতা দেওয়া হবে। বাকি বিষয় ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া এবং তার সহযোগীরা দেখছেন।”

মঙ্গলবার ফৌজদারহাটে হাসপাতাল তৈরির জায়গা পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির।

তিনি বলেন, এখানে কোনো সমস্যা নেই। আইসোলেশন ফিল্ড হাসপাতাল করা যায়। বিআইটিআইডির কাছে হওয়ায় এটি আরও বেশি কাজে আসবে করোনাভাইরাস আক্রান্ত বা উপসর্গযুক্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে।