মঙ্গলবার এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম মো. তৌহিদুল ইসলাম।
এসময় খুলশী এলাকার বিদেশি নাগরিকদের আনাগোনা আছে এমন একটি কোরিয়ান রেস্তোরাঁও বন্ধ করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তৌহিদুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিদেশি নাগরিকরা হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশনা মানছেন না বলে খবর পাওয়ার পর এই অভিযান চালানো হয়।
খুলশী এলাকায় বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা বসবাস করেন। তারা চট্টগ্রামে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
তৌহিদুল বলেন, “সেখানে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩০ জনের মতো বিদেশি নাগরিক মার্চ মাসে বাংলাদেশে এসেছেন। তারা দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, চীন থেকে এসেছেন।
“৩০ জনের মধ্যে ২০ জনই হোম কোয়ারেন্টিন না মানার প্রমাণ মিলেছে। এরপর তারা যেসব বাসায় থাকেন সেগুলোতে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। পাশাপাশি ওই বাসাগুলোতে বিদেশি নাগরিকের নাম-পরিচয়সহ রেড স্টিকার লাগানো হয়।”
এক জাপানির অফিস করার তথ্য পেয়ে তার বিষয়ে নজরদারি করতে পুলিশকে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরীয় এক নাগরিক ১৫ মার্চ বাংলাদেশে ফিরে হোম কোয়ারেন্টিন না মেনে নিয়মিত খুলশী ২ নম্বর রোডের একটি রেস্তোরাঁয় যাতায়াত করছিলেন বলে প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
খুলশী ২ নম্বর সড়কের ওই রেস্তোরাঁটি বন্ধ করতে পুলিশকে বলে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই রেস্টুরেন্টটি আগামীকাল থেকে বন্ধ রাখতে মৌখিকভাবে মালিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
খুলশী এলাকায় বিদেশি নাগরিকদের যত্রতত্র ঘোরাফেরার ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।