কিট কবে নাগাদ এসে পৌঁছাবে তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যও পাওয়া যায়নি। ফলে কারও করোনাভাইরাসের মতো লক্ষণ দেখা তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হচ্ছে।
বিআইটিআইডির পরিচালক এম এ হাসান চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভাইরাস শনাক্তের জন্য কিট আসার কথা থাকলেও তা এসে পৌঁছায়নি। তবে আমাদের কর্মীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে চট্টগ্রাম ফিরেছেন।”
তিনি জানান, এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে ১২ জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে নমুনায় কারোই করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি।
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় সাধারণ সর্দি-কাশি নিয়ে আসা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এমন পরিস্থিতিতে নগরীর বেসরকারি রয়েল হাসপাতালে সম্প্রতি শ্বাসকষ্টে এক রোগী মারা যাওয়ার পর সেখানকার আইসিইউ এবং এইচডিইউ সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ১৯ মার্চ ওই রোগী জিইসি মোড়ের রয়েল হাসপাতালে মারা যান।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আইসিইউতে চিকিৎসা সুবিধা সোমবার বিকাল থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতালটির নির্বাহী পরিচালক মতিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একজন শ্বাসকষ্টের রোগী মারা যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষার দাবি জানায়। ওই রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা আমরা নিশ্চিত নই।”
এদিকে চট্টগ্রামে নতুন করে বিদেশ থেকে কেউ না আসায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা বাড়েনি বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী মিয়া।
“যারা কোয়ারেন্টিনে আছেন তাদের ওপর প্রশাসনের সহায়তায় নজরাদারি রয়েছে।”