ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট দিনমনি দে জানান, বাঁশখালী থানার এই মামলায় এর আগে অভিযোগ গঠনের সময় লেয়াকত আলী অনুপস্থিত ছিলেন। তখন তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।
“এরপর কয়েকটি ধার্য দিনে তিনি হাজির হননি। আজ হাজির হয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আমরা বিরোধিতা করি। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।”
২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে বাঁশাখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। ওই ঘটনার পর আলোচনায় আসেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া বিএনপি নেতা লেয়াকত।
পরে তিনি গন্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
লেয়াকতের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় বিভিন্ন ধরনের অন্তত ২০টি মামলা আছে।
এদিকে লেয়াকতের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোয় প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি। লেয়াকত দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ যৌথ বিবৃতিতে লেয়াকতের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবি জানান।