শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর উত্তর কাট্টলীতে মনজুরের বাড়িতে যান রেজাউল। তার সঙ্গে ছিলেন কাট্টলী এলাকার বাসিন্দা নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, যিনি নিজেও এবার মেয়র পদে দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
মনজুরের বাড়িতে এসময় উপস্থিত ছিলেন তার ভাতিজা চট্টগ্রাম-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ দিদারুল আলম।
২০১০ সালে বিএনপির সমর্থন নিয়ে মেয়র পদে প্রথমবার নির্বাচন করেই বিজয়ী হওয়া মনজুর ২০১৫ সালের নির্বাচনে আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গেও লড়েছিলেন। পরে আওয়ামী লীগে ফিরে যাওয়া মনজুর এবার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন।
কাট্টলী এলাকায় মাওলানা মঈনুদ্দীন শাহ (র:) মাজার জিয়ারতের পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি মন্দির পরিদর্শন করে
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনার সাথে দেখা হয়েছে। সবার সাথেই যোগাযোগ করছি। ওইদিকেই যখন গিয়েছিলাম, তাই দেখা করে এসেছি।”
সাক্ষাতের বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগের মেয়র হিসেবে মনজুর আলমের কাছে রেজাউল ভাই সহযোগিতা ও দোয়া চেয়েছেন। সাবেক মেয়র মনজুর আলম কিছু সাজেশনও দিয়েছেন। যেহেতু তিনি মেয়র নির্বাচনে অভিজ্ঞ।
“১৫-২০ মিনিট আমরা সেখানে ছিলাম। অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।”
চট্টগ্রামের রাজনীতিতে মনজুর আলম পরিচিত সাবেক মেয়র প্রয়াত মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর শিষ্য হিসেবে।
এমনকি ২০১০ সালের নির্বাচনে এক লাখ ভোটের ব্যবধানে নিজ শিষ্য মনজুরের কাছে পরাজিত হওয়ার পর মেয়র হিসেবে মনজুরের মেয়াদকালে গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক ছিল অটুট।
এবার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া রেজাউলও নগরীর রাজনীতিতে মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
২০ ফেব্রুয়ারি বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সঙ্গে নিয়েই প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন রেজাউল।