বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ‘ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষী’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায় না।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন পর্বে বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীও আমন্ত্রণ পাচ্ছেন বলে খবর বেরিয়েছে।
হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতা মোদী গুজরাট দাঙ্গার ঘটনা নিয়েই সমালোচনায় ছিলেন বাংলাদেশে। সম্প্রতি ভারতে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের পর বিক্ষোভ দমন নিয়ে পড়েছেন নতুন সমালোচনায়।
বিবৃতিতে আহমদ শফী বলেন, “মোদীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে গুজরাট, কাশ্মীর দিল্লিসহ অনেক রাজ্যে মুসলমানদের খুন করা হয়েছে। চরম নির্যাতন নিপীড়ন চালানো হয়েছে।
“তাই যার হাতে মুসলিম গণহত্যার দাগ লেগে আছে, তার উপস্থিতি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না। অবিলম্বে মোদীর রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণ বাতিল করা হোক।”
শুক্রবার জুমার নামাজের পর সব মসজিদে ভারতসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য বিশেষ দোয়া করার জন্য জনগণের প্রতি অনুরোধ জানান হেফাজত আমির।
তবে ভারতের ঘটনার আঁচ বাংলাদেশে যেন না লাগে, সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে বলেছেন শফী।
বিৃবতিতে তিনি বলেন, “ইসলাম শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার কথা বলে, অমুসলিম সম্প্রদায়কে নিরাপত্তাদানের কথা বলে। আমাদের দেশের মুসলমানগণ বারবার তা প্রমাণ করে দেখিয়েছে। মানবপ্রাচীর তৈরি করে মন্দির পাহারা দেওয়ার নজির আমরা দেখিয়েছি। সকল ধর্মের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতকরণ, জানমালের নিরাপত্তায় একতাবদ্ধ হওয়া আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব।”