জাসমির সুপার অয়েলের এমডি কারাগারে

ভোজ্য তেলে নির্ধারিত মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ না থাকার মামলায় জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহাম্মদকে কারাগারে পাঠিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2020, 03:50 PM
Updated : 25 Feb 2020, 03:50 PM

বিএসটিআইয়ের করা এই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম আবু ছালেহ মোহাম্মদ নোমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান জহির আহাম্মদ। তখন বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিএসটিআইয়ের আইনজীবী আশ্রাফ উদ্দীন খন্দকার রনী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ মামলায় আসামিকে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছিল। ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত দিনে তিনি হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

“আজ জহির আহাম্মদ আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।”

মামলার নথি থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ স্ট্যার্ন্ডাড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিদর্শক রাজীব দাশ গুপ্ত বাদী হয়ে গত বছরের ২০ অক্টোবর মামলাটি করেন।

মামলার আসামি জহির আহাম্মদ জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি শিল্প গোষ্ঠী নুরজাহান গ্রুপেরও মালিক।

চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলি থানার সাগরিকা রোডে ফৌজদারহাট শিল্প এলাকায় জাসমির সুপার অয়েলের কারখানা।

বিএসটিআইয়ের পরিদর্শক দল ওই কারখানা থেকে ভোজ্যতেলের নমুনা সংগ্রহ করে তাদের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করলে তা ‘ভিটামিন এ’ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়।

আইনজীবী আশ্রাফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভোজ্যতেলে ভিটামিন এ সমৃদ্ধকরণ আইনে ভিটামিন এ মেশানো ছাড়া তেল বাজারজাত করা যাবে না বলে উল্লেখ আছে।

“জাসমির ব্র্যান্ডের তেলে নির্ধারিত মান মাত্রার চেয়ে অনেক কম ভিটামিন এ ছিল। এ ধরনের তেল পোড়া মবিলের মতো, যা লিভার, কিডনি, হার্টের নানা অসুখের কারণ হতে পারে।”

জহির আহাম্মদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের বিএসটিআই আইনের ১৫ ও ২১ ধারা লঙ্ঘন এবং ২০১৩ সালের ভোজ্যতেলে ভিটামিন এ সমৃদ্ধকরণ আইন এর ৪(১) ও ৪(২) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়।