গ্রেপ্তার মো. জয়নাল আবেদীন (৩২) আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন।
২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর রাতে বাকলিয়া থানার তুলাতলি আলী ভবনের পঞ্চম তলার ভাড়া বাসায় খুন হন রোকসানা বেগম (২৮)। এরপর থেকে জয়নাল পলাতক ছিলেন।
ফল বিক্রেতা জয়নাল কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার আরপাকনা গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।
বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সকালে কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড় এলাকার একটি চা দোকান থেকে জয়নালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর সে মোবাইল বন্ধ করে দিয়েছিল। ওই চা দোকানে সে চাকরি নিয়েছিল।”
গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম খায়রুল আমিনের আদালতে স্ত্রীকে হত্যার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানান ওসি নেজাম উদ্দিন।
তিনি বলেন, “অভাব অনটনের কারণে রোকসানার সাথে জয়নালের বিভিন্ন সময় ঝগড়া হতো। ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরে ভোরে ছুরি দিয়ে গলা কেটে রোকসানাকে হত্যার কথা জানিয়েছে জয়নাল।”
নিহত রোকসানা গার্মেন্ট কর্মী ছিলেন। এই দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে দুজন ছেলে ও দুজন মেয়ে। তাদের বয়স ১২ থেকে ছয় বছর।
এ ঘটনায় নিহত রোকসানার বোন জামাই জলিল বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর হত্যা মামলা করেন।