প্রেমিককে ফাঁসাতে আরেকজনের সঙ্গে হোটেলবাস!

বিয়েতে আপত্তি করা প্রেমিককে ধর্ষণের মামলায় ফাঁসাতে চট্টগ্রামের এক তরুণী আরেক যুবকের সঙ্গে হোটেলে উঠে শারীরিক সম্পর্কের পর থানায় তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Feb 2020, 07:27 PM
Updated : 20 Feb 2020, 08:30 PM

এই ঘটনায় ওই তরুণীর সঙ্গে হোটেলে ওঠা যুবক সজীব দাশ রুবেলকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণী কামরুল হাসান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন।

“মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, একসাথে চাকরি করার সুবাদে কামরুলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। কিন্তু কামরুলকে বিয়ের কথা বললে সে এড়িয়ে যায়। এরপর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কামরুল নগরীর স্টেশন রোডের একটি হোটেলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে ফেলে বাসায় চলে যায়।”

মামলার পর ওই তরুণীর কাছ থেকে কামরুলের ছবি সংগ্রহ করা হয় জানিয়ে ওসি বলেন, যে হোটেলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানকার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি মেয়েটি আরেকজন যুবকের সাথে ওই হোটেলে যায়।

ভিডিওফুটেজ দেখে মঙ্গলবার ইপিজেড এলাকা থেকে রুবেলকে আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানান তিনি।

”এ সময় সে ঘটনার বিস্তারিত জানায় এবং পরে মেয়েটিকে ডেকে আনা হলে তারা ঘটনাটি সাজানো বলে স্বীকার করে,” বলেন ওসি মহসিন।  

পরদিন বুধবার দুজনই চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান ওসি।

তিনি বলেন, “জবানবন্দিতে রুবেল বলেছে, ওই তরুণী কামরুলকে বিয়ে করতে বলায় সে (কামরুল)  চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে যায়। গত ১০ ফেব্রুয়ারি মেয়েটি কামরুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ ফেব্রুয়ারি স্টেশন রোডের হোটেলে গিয়ে তারা শারীরিক সম্পর্ক করে। এরপর রুবেল বাসায় চলে যায় এবং মেয়েটি থানায় গিয়ে কামরুলের বিরুদ্ধে মামলা করে।”

“ঘটনা সাজানো তা স্বীকার করে মেয়েটি জবানবন্দিতে বলেছেন, কামরুল তাকে বিয়ে না করায় পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি রুবেলকে নিয়ে হোটেলে অবস্থান করেন। সেখানে কামরুলের নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে রুম ভাড়া নিয়েছিলেন তারা দুজন।”

এখনও তদন্ত চলছে জানিয়ে ওসি বলেন, তদন্ত পুরোপুরি শেষ হলে মেয়েটির বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।