বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর চশমা হিলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় যান নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী: সঙ্গে ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও।
তারা মহিউদ্দিনপত্নী নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিনের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় নাছিরকে হাসিমুখে দেখা গেছে।
এর আগে দুপুরে শুরুতে নগরীর মেহেদীবাগে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমদ চৌধুরীর কবর জিয়ারত করেন রেজাউল করিম চৌধুরী। সেখানে নাছিরও ছিলেন।
কবর জিয়ারতের পর দুই নেতা জহুর আহমদ চৌধুরীর বাসায় তার ছেলে নগর কমিটির সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সাথে দেখা করতে যান।
সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আ জ ম নাছির বলেন, “আমি আ জ ম নাছির উদ্দীন, বর্তমান মেয়র এবং দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন চেয়েছি মেয়র হিসেবে। আমি আমাকে নির্বাচিত করার জন্য যেভাবে কাজ করতাম একইভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করব।
“শুধু আমি না, পুরো মহানগর আওয়ামী লীগ আমরা আওয়ামী পরিবার। আমরা সবাই একযোগে কাজ করব।”
“বিভেদ কারও পক্ষে আসবে না। ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবার ভোট প্রয়োজন আছে। কেউ যদি করে থাকেন এটা না বুঝে করছেন। বলব সবাই বুঝবেন, বারবারে একই কথা বলি- আমরা ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা মাঠে নেমেছি। বিজয় পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকবে।”
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক মতবিনিময় সভায় আ জ ম নাছির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ছবির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলেন, তিনি ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতির শিকার। কেউ মেয়র পদ চাইলে তিনি নিজ থেকেই সরে যেতেন।
এরপর বুধবার চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে নগর কমিটি আয়োজিত মেয়রপ্রার্থী রেজাউলের সংবর্ধনায় ছিলেন না তিনি।
জহুর আহমদ চৌধুরীর বাসভবনে এ বিষয়ে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “অনেক সময় মানুষের বিভিন্ন অসুবিধা থাকে। গতকাল যে জমায়েত হয়েছিল, সাধারণ সম্পাদক সাহেবের মা গুরুতর অসুস্থ। উনি সেজন্য আসতে পারেননি। এটা নিয়ে টানাহেঁচড়া করার কিছু নেই।
“আমি মহানগর আওয়ামী লীগে কোনো বিভেদ দেখি না, ছিল না। বড় একটা সংগঠনে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি তো কোনো দলাদলিতে নাই, কোনো গ্রুপে নাই। আমার সাথে সবার সুসম্পর্ক। কারও সাথে সামান্য মনোমালিন্যও নাই। আমি আওয়ামী লীগ প্রার্থী। উনারা (দলের নেতৃবৃন্দ) যে সিদ্ধান্ত দেবেন সে সিদ্ধান্ত মোতাবেক এগিয়ে যাব।”
মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবর জিয়ারতের সময়েও রেজাউলের সাথে ছিলেন নাছির।
এরপর তারা চশমা হিলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় গেলে তাদের সাথে ছিলেন নগর কমিটির সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিন, কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, আইন সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, চন্দন ধরসহ শীর্ষ নেতারা।
সেই সাক্ষাতের বিষয়ে ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সেখানে গেলে হাসিনা মহিউদ্দিন আমাদের বরণ করে নেন। সেখানে কথা প্রসঙ্গে হাস্যরসেরও অবতারণা হয়।
“২০-২৫ মিনিট আমরা সেখানে ছিলাম। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছি। নির্বাচনী প্রচারণা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম কিভাবে হবে তা নিয়েও সেখানে আলোচনা হয়।”
এরপর অতিথিদের গরুর মাংস, মুরগির মাংস, পরোটা, কেক, চা ও ফল দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়।