এ ঘটনায় চট্টগ্রাম নগরীর পাশাপাশি টেকনাফ, সাভার ও নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আমজাদ হোসেন (২১), আবছার উদ্দিন ওরফে রাব্বি (১৯), মামুন মিয়া (২৬), মো. নাজমুল হক (৩৪), মো. ইলিয়াছ (৪০), আফজাল হোসেন (২৬), কবির হোসেন (৩০) ও হোসাইন আল মাকসুদ ওরফে সনেট (৩৬)।
চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের পরিদর্শক রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, একটি পরিবহন সংস্থা তাদের পাঠানো ৩০০ কার্টন সুতা চুরির অভিযোগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইপিজেড থানায় একটি মামলা করে।
সেখানে বলা হয়, জয়দেবপুরের ‘পলিব্যাগ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য বিদেশ থেকে আমদানি করা ৩০০ কার্টন সুতা গত ৪ ফেব্রুয়ারি বন্দরনগরীর লেবার কলোনি ডিপো মাঠ থেকে একটি কভার্ড ভ্যানে করে পাঠানো হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে মালামালগুলো গন্তব্যে পৌঁছেনি।
এরপর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে নেমে চট্টগ্রামের আমিন জুট মিল এলাকায় ওই কভার্ড ভ্যানটি খুঁজে পায় এবং চালক আমজাদ ও তার সহকারী আবছারকে গ্রেপ্তার করে।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামুনের তথ্যে সাভার থেকে নাজমুল, ইলিয়াছ, আফজালকে এবং পরে নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে একটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া সুতা এবং গোডাউন মালিক কবির ও ম্যানেজার সনেটকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান পরিদর্শক রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, “এরা সবাই সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো মালামাল কভার্ড ভ্যান চালকের সহায়তায় তারা চুরি করে বিক্রি করে দেয়।”
উদ্ধার করা সুতার বাজার দর ৬৩ কোটি টাকার বেশি বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা রুহুল।