সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অস্ত্র মামলায় সরোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল।
“শুনানি শেষে আদালত একদিন মঞ্জুর করেছেন।”
কাতার থেকে শনিবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে পুলিশ সরোয়ারকে আটক করে।
এরপর রোববার তাকে চট্টগ্রামে এনে তার বায়েজিদ থানার খন্দকিয়া পাড়ার বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ।
সারোয়ারের বাসা থেকে ৩০ রাউন্ডগুলিসহ একটি একে-২২ রাইফেল এবং চার রাউন্ড গুলিসহ একটি এলজি উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়।
সরোয়ার প্রায় তিন বছর কাতারে পালিয়ে ছিলেন। সেখানে মারামারির ঘটনায় পুলিশ তাকে আটক করলে এক মাসের সাজা হয়। এরপর তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয় বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।
সারোয়ারের বিরুদ্ধে নগরীর বায়েজিদ, ডবলমুরিং ও পাঁচলাইশ থানায় মোট ১৬টি মামলা আছে।
চট্টগ্রামে বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রমে প্রায় দেড় দশক আগে আলোচনায় আসে সরোয়ার ও তার বন্ধু ম্যাক্সনের নাম। সে সময় তারা পরিচিত ছিলেন শিবির ‘ক্যাডার’ সাজ্জাদ হোসেন খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে, যিনি চট্টগ্রামের আট খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে বর্তমানে ভারতের কারাগারে বন্দি।
২০১১ সালের জুলাই মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিঙ্গারবিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন ম্যাক্সন। তার দেওয়া তথ্যে চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকা থেকে সরোয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২০১৭ সালে কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে কাতারে চলে গিয়েছিলেন সরোয়ার ও ম্যাক্সন।
গতবছর চট্টগ্রামে দুই ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, সরোয়ার ও ম্যাক্সন মধ্যপ্রাচ্যে বসেই সহযোগীদের মাধ্যমে দেশে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছেন।