রোববার গভীর রাতে রাউজানের পথেরহাট এলাকা থেকে শেখ সোহরাব হোসেন ওরফে সাদিচ (২৬) নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোহরাব উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের হারপাড়া গ্রামের ফিরোজ আহমদ ওরফে সোনা মিয়া মুন্সির দত্তক ছেলে।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি কাজী মো. তারেক আজিজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে সোহরাবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত শনিবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের হারপাড়া গ্রামে একটি প্রাথমিক স্কুলের পাশের ডোবা থেকে এ কে এম নুরুল আজম চৌধুরী (৬৮) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করার কথা জানায় পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ জানিয়েছিল, নুরুল আজমের হাতের কব্জি ও মাথা বিচ্ছিন্ন ছিল।
নিহত নুরুল আজম চৌধুরী পুলিশের সাবেক উপ-পরিদর্শক এবং মুক্তিযোদ্ধা বলে জানিয়েছে র্যাব।
সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, নুরুল আজম চৌধুরী বিভিন্ন সময় সোহরাবকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতেন। এ নিয়ে ক্ষোভ থেকে পাঁচ মাস ধরে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছিলেন সোহরাব।
“সোহরাব কোনো কাজকর্ম করত না। এ নিয়ে নুরুল আজম তাকে বেকার বলে ঠাট্টা করতেন।”
সোহরাবের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাতে র্যাব কর্মকর্তা তারেক আজিজ বলেন, “ঘটনার দিন সকালে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের বইজাখালী গেট অংশের দক্ষিণ পাশের একটি কামারের দোকান থেকে এক হাজার টাকায় একটি ছুরি কেনে সোহরাব। কাঠের বাটসহ ছুরিটি প্রায় ৩৩ ইঞ্চি লম্বা।
“নুরুল আজম কুপিয়ে হত্যার পর ছুরিটি ধুয়ে আবার ওই দোকানে ফিরিয়ে দেয় সোহরাব।”
সেই কামারের দোকান থেকে ছুরিটি উদ্ধার করেছে র্যাব।
আর হত্যার পর সোহরাব তার পরনে থাকা সোয়েটার, শার্ট, জিন্সের প্যান্ট ও টি-শার্ট বাড়িতে ধুয়ে শুকিয়ে ফেলেন। সেগুলোও তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব।