সোমবার দুপুরে বগিভিত্তিক সংগঠন রেড সিগন্যালের এক কর্মীকে মারধর করায় অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেড সিগন্যালের নেতা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম দিনার।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা আমাদের এক ছোট ভাই এমরান আশিককে সমাজবিজ্ঞান অনুষদে মারধর করে।
“যারা আশিককে মারধরের সাথে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার এবং এই হামলার দায়ভার নিয়ে সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর পদত্যাগের জন্য এই অবরোধ ডাকা হয়েছে।”
আশিককে মারধরের পর হোস পাইপ কেটে শাটল ট্রেন অবরোধ করে রেড সিগন্যালের নেতা-কর্মীরা।
বিকাল পৌনে তিনটায় ফতেয়াবাদ রেল স্টেশনে শহরগামী শাটল ট্রেনের হোস পাইপ কেটে দেওয়া হয় বলে জানান ষোলশহর স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তন্ময় চৌধুরী।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছেড়ে আসা আড়াইটার শাটল ট্রেনের হোস পাইপ কেটে দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গামী সকল শাটল ট্রেন বন্ধ আছে।
প্রতাক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে বগিভিত্তিক সংগঠন রেড সিগন্যালের এক সমর্থককে সিক্সটি নাইনের সমর্থকরা মারধর করে। তারই প্রতিবাদে রেড সিগন্যালের সমর্থকরা ফতেয়াবাদ রেলস্টেশনে শাটল অবরোধ করে।
এ বিষয়ে রেড সিগন্যালের নেতা রকিবুল ইসলাম দিনার বলেন, মারধরের বিষয়টি জানার পর তার সহপাঠীরা শাটল ট্রেন অবরোধ করে।
বগিভিত্তিক সিক্সটি নাইন গ্রুপটি চবি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, “গ্রুপিং-মারামারির দায়ে হুট করে পদত্যাগ চাওয়া অযৌক্তিক ও বিভ্রান্তিকর।
"কোনো ঝামেলা হলেই ক্যাম্পাসে অবরোধ ডাকা বগিভিত্তিক সংগঠনগুলোর একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। এই সব ঝামেলার সাথে যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির কাছে অভিযোগ করা হবে।”
এর আগেও মারধরের প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরোধের ডাক দিয়েছিল ছাত্রলীগের একাংশ।