চট্টগ্রামের শুলকবহরে পুড়ল বস্তি

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন শুলকবহর এলাকার একটি বস্তি আগুনে পুড়ে গেছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2020, 06:22 AM
Updated : 24 Jan 2020, 06:31 PM

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুলকবহরের পুরাতন ওয়াপদা সংলগ্ন ডেন্টাল মেডিকেলের পাশে ডেকোরেশন গলির বাবু কলোনিতে আগুন লাগার খবর পান তারা।

ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ ইউনিটের ১২টি গাড়ি দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন সেখানে ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে বলে ফরিদ উদ্দিন জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হল, তা এখনো জানা যায়নি। বাবু কলোনির যে কোনো ঘর থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে।”

কলোনির গলিগুলো খুব সংকীর্ণ হওয়ায় গাড়ি পৌঁছাতে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।

দুই থেকে আড়াইশ কাঁচা ঘর রয়েছে ডেকোরেশন গলির বাবু কলোনিতে।  মূলত নিম্ন আয়ের মানুষ এক কক্ষের এসব বাসায় ভাড়া থাকেন।  দেড় ঘণ্টার আগুনে কলোনির বেশিরভাগ ঘর পুড়ে গেছে বলে স্থানীয়দের ভাষ্য

ওই কলোনির রফিক সওদাগরের ঘরে ভাড়া থাকতেন অটোরিকশা চালক বেলাল হেসেন। তিনি জানান, রাতে গাড়ি চালিয়ে সকালে ঘরে এসে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঘুম ভেঙে দেখতে পান চারদিকে আগুন। তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে এসে  প্রাণে বাঁচলেও ঘরের জিনিসপত্র সব পুড়ে ছাই।

ওই বস্তির বাসিন্দা পারভীন আক্তার বিভিন্ন বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই এক বাসায় কাজে গিয়েছিলেন। আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে আসেন। কিন্তু রেফ্রিজারেটর ছাড়া আর কিছুই তিনি ঘর থেকে বের করতে পারেননি।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার দেবদূত মজুমদার বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত কারও হতাহতেরও খবর তারা পাননি।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম জানান, আগুনে আট জন মালিকের প্রায় ১০০টি ঘর পুড়ে গেছে।

বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।