আগামী জনশুমারির আওতায় আসছে প্রবাসীরাও

আগামী বছর হতে চলা জনশুমারিতে প্রবাসীদেরও গণনা করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2020, 07:03 PM
Updated : 23 Jan 2020, 07:03 PM

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আয়োজিত জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

২০২১ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ষষ্ঠ জনশুমারি পরিচালনা করা হবে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, “এবার আমরা প্রবাসীদেরও গণনা করব। আমাদের কতজন বিদেশে আছেন তার সঠিক তথ্য জানা যাবে।”

তবে আগামীতে ‘ই-সেন্সাস’ করার আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ”ধীরে ধীরে আমরা ই-সেন্সাসের দিকে যাচ্ছি। ২০-২৫ বছর পর এগুলো (বর্তমান পদ্ধতি) আর থাকবে না। প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে আমরা জানতে পারব আমাদের জনসংখ্যা কত।”

জনশুমারির তথ্যের মান নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ”আমাদের বিবিএসের (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো) তথ্য বিশ্বমানের কাছাকাছি। আইএমএফ-বিশ্বব্যাংক যারা একটু নাক উঁচু, তারা এখন বিবিএসের তথ্য ব্যবহার করে। বিবিএসের মান অনেক ইমপ্রুভ করেছে, এখন তারা বিশ্বাস করে।

“মুজিব বর্ষ ও বাংলাদেশের সুর্বণ জয়ন্তীতে আমরা এবার যে সেন্সাস (শুমারি) করব তাও সুবর্ণ হবে। রিয়েল টাইম সেন্সাস ভবিষ্যতে সম্ভব হবে। ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও ডেনমার্কে রিয়েল টাইম সেন্সাস ব্যবহার করে। ওই ধরনের সেন্সাসে একটা সার্বিক চিত্র আসে।” 

দেশে বিশ্বমানের পরিসংখ্যান ইন্সটিটিউট করার ঘোষণা দিয়ে এম এ মান্নান বলেন, ”পরিসংখ্যানটা ফান্ডামেন্টাল (মৌলিক) বিষয়। আমরা বিশ্বমানের পরিসংখ্যান ইন্সটিটিউট করবো। যে পরিকল্পনা আমরা করি তাতে ডাটা ব্যবহার করতে হয়। ডাটা খুব জরুরী।

ষষ্ঠ জনশুমারিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সম্পৃক্ত করা হবে জানিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, দলীয়-নির্দলীয়-অদলীয় যেই হোক কাজের লোক হলে জনশুমারিতে কাজ করতে পারবে। আমরা মনিটর করবো। যেন কাজ ঠিকভাবে হয়।”

সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক আবু সাইদ বলেন, ”রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যে ডেটাবেজ আছে তাতে ১০ লাখ নিবন্ধিত আছে। এর বাইরেও অনেকে আছে।

“যাদের ডেটাবেজে আঙ্গুলের ছাপ আছে তার বাইরে থাকারাও পাসপোর্ট করতে আসে। বিভিন্ন উপায়ে আমরা তাদের শনাক্ত করি। আমরা দেখেছি রোহিঙ্গারা একটা কাগজ যোগাড় করে তারপর অন্য কাগজ যোগাড় করতে যায়। জনশুমারিতে তারা যেন অর্ন্তভুক্ত হতে না পারে সে বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে।”

পরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, “রোহিঙ্গা আমাদের সাময়িক অতিথি। তারা দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে ভেসে ভেসে এখানে এসেছে। তাদের সম্পর্কে মানবিক হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও সেটাই চান। আমরা আইন মানব বাট তাদের বিষয়ে মানবিক আচরণ করবো।

“তাদেরও সম্মান যাতে রক্ষা হয়। আমাদের আইন-কানুন কীভাবে ঠিক থাকে সেটা আমরা অবশ্যই দেখব।”

সবশেষ ২০১১ সালে হওয়া পঞ্চম জনশুমারি অনুসারে দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৭ জন।

আগামী বছরের ২ জানুয়ারি ‘জিরো আওয়ারে’ শুরু হয়ে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী এই জনশুমারি করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। 

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শঙ্কর রঞ্জন সাহার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী।