করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্ক চট্টগ্রাম বিমানবন্দরও

চীনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরনের ‘করোনাভাইরাসের’ সংক্রমণ ঠেকাতে ঢাকার মত চট্টগ্রামের শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Jan 2020, 06:45 AM
Updated : 21 Jan 2020, 06:45 AM

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারোয়ার ই জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিমানবন্দরে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি।”

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সঙ্গে চীনের কোনো এলাকার সরাসরি ফ্লাইট নেই। চীন থেকে কোনো যাত্রী দুবাই বা ভারত হয়ে চট্টগ্রাম এলে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।”

চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে বিমানবন্দর এলাকায় এ ভাইরাসের বিষয়ে সতর্কতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলেও জানান উইং কমান্ডার সারোয়ার ই জামান।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চীনে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত দুদিনে সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৯ জন।

শুরুতে উহান প্রদেশে এই রোগ দেখা দিলেও এখন বেইজিং, সাংহাই ও সেনঝেন প্রদেশেও আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এরই মধ্যে চার জন মারা গেছেন। জাপান, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ায়ও ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

করোনাভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে সঞ্চারিত হয়। শ্বাসতন্ত্রের এ রোগে সর্দিজ্বর হয়, সেই সঙ্গে মাথা ব্যথা, গলা ব্যাথা, কাশি ও শরীরে অস্বস্তি বোধ হয়। উপসর্গগুলো অনেকটা নিউমোনিয়ার মত।

গবেষকরা বলছেন, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে তো বটেই, হাঁচি-কাশি থেকে বাতাসের মাধ্যমেও এ ভাইরাস ছড়াতে পারে। 

গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনাভাইরাস পরিবারের নতুন এই ভাইরাসটির প্রথম সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়ে।

বাংলাদেশে এখনও এ রোগে আক্রান্ত কেউ শনাক্ত না হলেও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছে বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যকর্মীদের আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি। যেসব যাত্রী চীন থেকে আসছেন, তারা যেন এয়ারপোর্টের থার্মাল স্ক্যানারের ভেতর দিয়ে যান, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। যদি কারও জ্বর পাওয়া যায়, তাহলে আমরা ধরতে পারব।”

চীন থেকে আসা যাত্রীদের দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে একটি হেলথ কার্ড তৈরি করছে আইইডিসিআর। আসার সময় জ্বর না থাকলেও চীন থেকে আসার ১৪ দিনের মধ্যে যদি কারও জ্বর হয়, তাহলে তাদের আইইডিসিআরে যোগাযোগ করতে বলা হবে।