এ নির্বাচনের বিজয়ী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মোছলেম উদ্দিন আহমদের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, “যারা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিন্দুমাত্র স্বীকার করে না, ইতিহাস বিকৃত করে বিভ্রান্তি ছড়ায় তাদের কাছে নির্বাচন, গণতন্ত্র ও সংবিধান অর্থহীন। তারা প্রযুক্তিকে অস্বীকার এবং ইভিএম পদ্ধতিকে বিরোধিতা করবে- এটাই স্বাভাবিক।
“উপ-নির্বাচনে ২২.৯৪ শতাংশ নয়, ভোট পড়েছে ৫ শতাংশ- এই পরিসংখ্যান তিনি (আবু সুফিয়ান) কোথা থেকে পেলেন? তার দাবী অনুযায়ী ভোট কেন্দ্র থেকে যদি তার এজেন্টদের যদি বের করে দেওয়া হয়, তা হলে ভোটগ্রহণের শেষ সময় পর্যন্ত কত ভোট পড়েছে এবং ভোটার উপস্থিতি কত তা কীভাবে নিরূপন করা সম্ভব?”
বাংলাদেশ জাসদের নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনে গত ১৩ জানুয়ারি উপনিবার্চন হয়। আওয়ামী লীগের মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ৮৭ হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়ে তাতে জয়ী হন। বিএনপির আবু সুফিয়ান পান ১৭ হাজার ৯৩৫ ভোট।
এ উপনির্বাচনে ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে নির্বাচন কমিশন জানালেও বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ভোট দিতে পেরেছেন মাত্র পাঁচ শতাংশ ভোটার। বাকি ভোট ‘ইভিএমে জালিয়াতি করে’ দেখানো হয়েছে।
“আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সহায়তায় ইভিএম মেশিনের পাসওয়ার্ড নিয়ে প্রতি বুথে ৭০ থেকে ৮০টি ভোট জাল দিয়েছে। এভাবে ২২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছে বলে দেখানো হয়েছে।
“আওয়ামী লীগ ও সরকারের প্রশাসন যন্ত্র- সবাই মিলে ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোট ডাকাতি করেছে। এটি হল মধ্যরাতের নির্বচনের মত ভোট ডাকাতির আরেকটি কৌশল। ইভিএম পদ্ধতি হল প্রতারণার নতুন পদ্ধতি। এতে ডিজিটাল ডাকাতির পর অভিযোগ করারও সুযোগ নেই।”
এর জবাবে মোছলেম উদ্দিনের পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব নোমান আল মাহমুদ বিবৃতিতে বলেন, “যদি নির্বাচন কমিশনকে ‘আজ্ঞাবহ’ বলা হয়, তাহলে এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করলেন কেন? জানি এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ পরাজয় নিশ্চিত জেনে শুধু মুখ রক্ষার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরে নির্বাচনী ফলাফল বাতিলের অভিযোগ তুলবেন-এটা আগে-ভাগেই তাদের পরিকল্পনায় ছিল।
তিনি বলেন, “সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্যে প্রমাণিত হয় যে বিএনপি কোনো নির্বাচনকে মেনে নেবে না। তাই কল্পিত ঢালাও অভিযোগ এনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তাদের অভ্যাসগত অবৈধ পথে পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়।”