কর্ণফুলীর জমি ইজারায় সতর্ক হতে হবে: সংসদীয় কমিটির সভাপতি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের জমি যেন ‘যাকে-তাকে’ ইজারা দেওয়া না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর রফিকুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2020, 07:23 PM
Updated : 19 Jan 2020, 07:23 PM

রোববার চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, “নদীটাকে বাঁচাতে হবে, এটি ঠিক রাখতে না পারলে চট্টগ্রাম বন্দর বাঁচবে না। বন্দর নদীর ওপর দাঁড়িয়ে আছে। দেখা যাচ্ছে বন্দরকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলা হয়েছে। অনেকটা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”

ভবিষ্যতে কর্ণফুলী নদী রক্ষায় নদী রক্ষা কমিশনকে উদ্যোগ নিতে বলা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের এ জায়গাটা দেখার জন্য পাঠাব। তারা টিম পাঠাবেন এবং স্টাডি করে দেখবেন কী করা প্রয়োজন।”

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তিন দিন ধরে বন্দরের নির্মাণাধীন বে টার্মিনাল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর তারা বন্দরের অংশীজনদের সঙ্গে রোববারের বৈঠকে মিলিত হন।

বন্দর ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন সমস্যার বিষয় তুলে ধরলে সংসদীয় কমিটির সভাপতি সেসব দেখার আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, “এটা নিয়ে এখনই ঘোষণা এবং গেজেট হওয়া উচিত যে বে টার্মিনাল কুমিরা পর্যন্ত হবে। এ জায়গার মধ্যে কেউ যেন অন্য স্থাপনা না করে, এ সিদ্ধান্ত এখনই হওয়া উচিত।

“শুধু সড়ক করলে হবে না, শুধুমাত্র কার্গো পরিবহনের জন্য ডেডিকেটেড রোড হওয়া উচিত, ডেডিকেটেড রেলপথও করতে হবে। এসব না হলে কার্গো পরিবহন সহজ হবে না।”

আগামী ৫০ বছরের সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা সাজানোর ওপর জোর দিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, “এজন্য ডেডিকেটেড রুটের কথা আমাদের ভাবতে হবে। আমাদের দক্ষতা বেড়েছে, ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু আমাদের মডেল সেট করতে হবে। সেটি নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।”

আগামী ৫০ বছর এবং পরের  ৫০ বছরে কতগুলো জাহাজ প্রতিদিন বন্দরে আসতে পারে, সেজন্য কী পরিমাণে জেটি প্রয়োজন হতে পারে- সেসব বিষয় এখনই ভেবে রাখা দরকার বলে মত দেন তিনি।

সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের মত সক্ষমতা পায়রা বন্দরের এত দ্রুত তৈরি হবে না। এটি বিশেষায়িত বন্দর হোক। গার্মেন্ট পণ্য চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে এলে কোল সিমেন্ট পায়রার দিকে পাঠালে মনে হয় ভাল হয়। মোংলা বন্দরের জন্যও বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।”

রফিকুল ইসলাম বলেন, যে প্রকল্পগুলো চলমান আছে, তা বাস্তবায়িত হলে বন্দরের সক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে। সেই সঙ্গে যন্ত্রপাতির সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যা যা দরকার তা কেনা হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ ছাড়াও সংসদীয় কমিটির সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।