পুলিশকে পাথর নিক্ষেপ করে সুদীপ্ত হত্যার আসামি গ্রেপ্তার

টহল পুলিশকে পাথর নিক্ষেপ করে গ্রেপ্তার হয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলার এক আসামি। পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2020, 06:57 PM
Updated : 18 Jan 2020, 07:45 PM

শনিবার রাতে নগরীর খুলশী থানার ইস্পাহানি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার মো. জাহেদ (২৫) নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলার আসামি। জাহেদ আগে একবার গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন বলে জানান খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী।

নিহত ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস

পাথর নিক্ষেপে আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- খুলশী থানার এসআই আনোয়ার হোসেন, এএসআই রতন ও কনস্টেবল মো. মনির।

ওসি প্রণব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে খুলশী থানা পুলিশের একটি টহল দল ইস্পাহানী মোড়ে গেলে জাহেদ তার অনুসারীদের নিয়ে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে জাহেদকে গ্রেপ্তার করে।

২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। এ ঘটনায় সুদীপ্তর বাবা বাদী হয়ে সদরঘাট থানায় অজ্ঞাত সাত-আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডের পর মহানগর ছাত্রলীগের একাধিক নেতা জানিয়েছিলেন, বিগত কয়েক দশক ধরে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থকরা থাকলেও কয়েক বছর ধরে তার বিপরীতে একটি অংশ দাঁড়িয়েছে, যাদের একাংশের নেতৃত্বে আছেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমানে নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম।

এই মাসুমের অনুসারীরাই সুদীপ্তকে পিটিয়ে মেরেছে বলে অভিযোগ করে আসছে নগর ছাত্রলীগের একাংশ। এই হত্যা মামলায় বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া সবাই মাসুমের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

আর মাসুম সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি থাকার সময় প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থক হিসেবে পরিচিতি হলেও ২০১৪ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর তিনি মেয়র আ জ ম নাছিরের বলয়ে চলে আসেন। মাঝে তিনি সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আফসারুল আমীনের অনুসারী বলেও পরিচয় দিতেন।

হত্যাকাণ্ডের এক বছর পর বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পিবিআইকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়।

মামলাটি পিবিআই তদন্ত শুরু করার পর গ্রেপ্তার করা হয় দিদারুল আলম মাসুমসহ আরও কয়েকজনকে।