পরে পুলিশের তদন্তে বের হয়ে আসে মোবারকের মোটর সাইকেল চুরির সাথে জড়িত ছিলেন বাবুও। তার পরিকল্পনাতেই মোটর সাইকেলটি চুরি করা হয়েছিল চট্টগ্রামের সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং (সিআরবি) এলাকা থেকে।
এই ঘটনায় নগরীর বহদ্দারহাট, বায়েজিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাই মোটর সাইকেলটি উদ্ধারের পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে মঈনুল হক বাবু (২২), মো. আরমান (২২) ও মো. রাসেল (২৮) নামে তিনজনকে।
কোতোয়ালি থানার এসআই সজল দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত মঙ্গলবার বিকালে মামলার বাদী মোবারক তার পরিচিত মঈনুল হক বাবুর সঙ্গে দেখা করতে সিআরবি এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে বাবুর মোটর সাইকেলের পাশে মোবারকও তার মোটর সাইকেল রেখেছিলেন।
“এসময় বাবু কৌশলে মোবারককে চা খেতে ডেকে নিয়ে যায়। এরমধ্যে আরমান মোটর সাইকেলটি চুরি করে নিয়ে রাসেলের কাছে রেখে আসে।”
চুরির এই ঘটনায় জড়িতদের সিসিটিভির ফুটেজ থেকে শনাক্ত করা হয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, চা খেয়ে এসে মোবারক তার মোটর সাইকেল না পেয়ে বাবুকে নিয়ে সিআরবি পুলিশ ফাঁড়ি গিয়ে সেখানে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজও দেখেছিল।
সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র ধরেই পুলিশ আরমান ও বাবুকে এই ঘটনায় জড়িত হিসেবে সন্দেহ করে পুলিশ।
এসআই সজল দাশ বলেন, “আমরা বিভিন্ন ফুটেজ দেখে আরমানকে শনাক্ত করি এবং বাবুর সাথে একই মোটর সাইকেলে করে আরমানকে সিআরবি এলাকায় যাওয়ার ফুটেজ দেখে অভিযান শুরু করি।”
ফুটেজ ও বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা নিশ্চিত হন এই চুরির সঙ্গে বাবুও জড়িত।
এরপর বুধবার বহদ্দারহাট এলাকা থেকে বাবুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি চুরির কথা স্বীকার করেন বলে জানান এসআই সজল।
”পরে বায়েজিদ এলাকা থেকে আরমানকে আটকের পর সে জানায় মোটর সাইকেলটি সে রাসেলকে রাখতে দিয়েছে।”
আরমানের স্বীকারোক্তি ধরে রাসেলকে গ্রেপ্তারের পর মটর সাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মামালার বাদী মোবারক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগে প্রতিবেশী থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে প্রায় সাত বছর ধরে পরিচয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরেই মঙ্গলবার তিনি সিআরবি এলাকায় গিয়েছিলের বাবুর সঙ্গে দেখা করতে।
এসআই সজল বলেন, পাঁচলাইশ এলাকায় হক মটরস নামে একটি গ্যারেজের মালিক বাবু। তারা সংঘবদ্ধ মটর সাইকেল চোর।
এই ঘটনায় আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।