বৈষম্যের অবসান হলে অর্থবহ হবে মুজিববর্ষ: মেনন

সম্পদ ও আঞ্চলিক বৈষম্যের অবসান হলেই মুজিব বর্ষ পালন অর্থবহ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। 

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Jan 2020, 11:44 AM
Updated : 11 Jan 2020, 02:15 PM

শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর দোস্ত বিল্ডিংয়ে দলীয় কার্যালয়ে দলের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মেনন বলেন, "স্বাধীনতার পাশাপাশি বৈষম্যের অবসান ছিল পাকিস্তান আমলের আন্দোলনের অন্তর্বস্তু। কেবল আঞ্চলিক বৈষম্য নয়, ধন বৈষম্যের অবসানও ছিল সেসব আন্দোলনের লক্ষ্য। 

“অথচ বাংলাদেশে উন্নয়নের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে পাহাড় প্রমাণ বৈষম্য। ধন বৈষম্য বটেই, আঞ্চলিক বৈষম্যও প্রকট রূপ নিচ্ছে। দারিদ্র্যের হার যেখানে গড় ২১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে, সেখানে কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় এই হার ৭০ শতাংশ।" 

মেনন বলেন, "বঙ্গবন্ধু সারাজীবন এই বৈষম্যের বিরুদ্ধেই লড়েছেন। বাংলাদেশ পরবর্তীতেও সাধারণ মানুষের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ছিলেন । এই বৈষম্যের অবসানের রাজনৈতিক পদক্ষেপই মুজিব বর্ষ পালনকে অর্থবহ করবে। সেটাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রেষ্ঠ শ্রদ্ধার্ঘ।”

তিনি বলেন, "পাটকল শ্রমিকরা অনশনে জীবন দিয়ে মজুরী কমিশনের রোয়েদাদ বাস্তবায়নের দাবি আদায়ে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু পাটকলগুলি ব্যক্তি মালিকানায় তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র এখনও বন্ধ হয় নাই। 

“অন্যদিকে কেবল পেঁয়াজ নয়, দ্রব্যমূল্যের ক্রম ঊর্ধগতি জনজীবনকে ভারাক্রান্ত করে তুলেছে। এটা চলতে থাকলে উন্নয়নের সকল স্লোগানই ফিকে হয়ে যাবে। ওয়ার্কার্স পার্টি তার ২১ দফা নিয়ে বৈষম্য, অনাচার, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়বো সমতাভিত্তিক সমাজ নির্মাণের লড়াইকে এগিয়ে নেবে।"

ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য হাজী বশিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় আগামী ৩১ জানুয়ারি লালদীঘি ময়দানে দলটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। 

ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন দলটির পলিটব্যুরোর সদস্য কামরূল আহসান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু হানিফ ও মাসুদুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সদস্য দিদারুল আলম চৌধুরী, কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দিন শাহেদ, বান্দরবান জেলার সাধারণ সম্পাদক ইতেন ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি সুমতি রঞ্জন চাকমা এবং যুব মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কায়সার আলম প্রমুখ।