মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে সাধারণ শিক্ষার্থী ব্যানারে তারা এ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, এদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলার কারণে ধর্ষকরা এ ধরনের অপরাধে উৎসাহ পাচ্ছে।
“আইনের ফাঁক-ফোকরগুলো বন্ধ করে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে এবং খুব শিগগিরই ঢাবির শিক্ষার্থী ধর্ষণকারীকে শনাক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।”
একই বিভাগের ছাত্রী মুমতাজ মুমু বলেন, “সারাদেশের স্কুল, কলেজের মেয়েদের সরকারি-বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে আত্মরক্ষামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে তারা বিপদের সময় নিজেদের রক্ষা করতে পারে।”
মানববন্ধনে জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. দিপু বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ধর্ষণের ঋতু চলছে। আইন ও শালিস কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৭ সালে ৮১৮ জন, ২০১৮ সালে ৭৩২ এবং গতবছর ১৪১৩ জন ধর্ষিত হয়েছে।
“এই মামলাগুলোর যথাযথ সুরাহা না হওয়ায় দিন দিন ধর্ষণের সংখ্যা বাড়ছে। ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে কঠিন সাজার ব্যবস্থা করতে হবে।”
মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী ‘ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তির চাই’, ‘ছয় ঋতুর দেশে ধর্ষণের ঋতু কবে শেষ হবে’, ‘হ্যাং দ্য রেপিস্ট’ লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
গত রোববার রাতে ঢাকার কুর্মিটোলা এলাকায় এক ছাত্রী ধর্ষিত হওয়ার পর থেকে দুইদিন ধরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। নির্যাতিত ছাত্রীটি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন।