সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “এবারের নির্বাচন আওয়ামী লীগ কর্মীদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি নিয়মনীতি মেনে নির্বাচন করার চেষ্টা করছি। কিন্তু যারা অগ্নিসন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত ছিল তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য চেষ্টা করছে।”
মঈনউদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন আগামী ১৩ জানুয়ারি। এই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
শুক্রবার সকালে বোয়ালখালী উপজেলার পৌর সদরের নবাব আলী সওদাগর সড়কে আবু সুফিয়ানের প্রচারে হামলার অভিযোগ করা হয় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোসলেম উদ্দিনের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছিলেন আবু সুফিয়ান।
মোসলেম বলেন, “এখনও পর্যন্ত বোয়ালখালীতে কোনো স্থানে কোনো কর্মী আহত হয়নি। তবুও হামলার অভিযোগ করা হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে বলা হয়েছে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো সত্যতা পায়নি।”
কালুরঘাট সেতুকে দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর দুঃখ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বলেন, “এখানে ব্রিজ নির্মাণ খুব জরুরি। অপরজন বোয়ালখালীর নয়। তিনি সরকারের সাথেও সম্পৃক্ত নয়। আমি জয়ী হলে যতটুকু সম্ভব অন্য কেউ জয়ী হলে এটা সম্ভব হবে না।”
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, শ্রমিক লীগ নেতা সফর আলী, চট্টগ্রাম-৮ আসনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সচিব নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলামসহ সাংবাদিক নেতারা।