রোববার বৃষ্টির সম্ভাবনা কম হলেও তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে।
শেষ ৪৮ ঘণ্টায় বন্দর নগরীতে প্রায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর থেকে বন্দর নগরীতে বৃষ্টি শুরু হয়।
শনিবার সকাল থেকে আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। বেলা ১১টার দিকে সূর্য উকি দিলেও তা ছিল অল্প সময়ের জন্য।
বেলা একটার দিকে কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। চলে বিকেল পর্যন্ত।
বৃষ্টির পানিতে নগরীর বিভিন্ন সড়কে চলমান ওয়াসাসহ বিভিন্ন সংস্থার কাজের কারণে খুঁড়ে রাখা গর্তে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। সড়কে কাদা ছড়িয়ে থাকায় পথচারীরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বড়পোল এলাকার বাসিন্দা মামুন হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পোর্ট কানেকটিং রোডে বড় বড় গর্ত। সেখানে বৃষ্টির পানি জমে আছে। শীতকাল নাকি বর্ষাকাল বোঝা দায়।
“শহরের যেখানেই যাই রাস্তায় খোড়াখুঁড়ি। বালি-মাটি সব পানিতে মিশে কাদা হয়ে আছে। হেঁটে চলাও কষ্টের।”
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এরআগে শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৫ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।
শুক্রবার চট্টগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি। শনিবার তা কমে দাঁড়ায় ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রিতে।
রোববার থেকে বৃষ্টি না হলেও তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা আছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমদ।