শুক্রবার ভোরে বায়েজিদ বোস্তামি থানার মাঝের ঘোনা এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে বায়েজিদ থানার ওসি প্রিটন সরকারের ভাষ্য।
নিহত এমদাদের (৩৮) বাসা বয়েজিদ বোস্তামি থানার শের শাহ এলাকায়। তার বিরুদ্ধে হত্যা ছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা থাকার তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
ওসি প্রিটন সরকার বলেন, রিপন হত্যা মমালার এজাহারে আসামি হিসেবে এমদাদের নাম ছিল ৫ নম্বরে।
“বৃহস্পতিবার রাতে তার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভোরের দিকে পুলিশ তাকে সঙ্গে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বের হয়।”
ওই অভিযানের বর্ণনা দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বায়েজিদ জোন) পরিত্রাণ তালুকদার বলেন, “মাঝেরঘোনা এলাকায় পৌঁছালে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। পুলিশও তখন পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তখন এমদাদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়।”
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এমদাদকে মৃত ঘোষণা করেন বলে পরিত্রাণ তালুকদার জানান।
গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে শের শাহ বাজার সংলগ্ন ফরিদ কমিশনারের বাড়ির পেছনে ছুরিকাঘাতে নিহত হন ২৮ বছর বয়সী রিপন। তার সঙ্গে থাকা আল আমিন (৩২) নামে আরেক যুবক সেদিন হামলায় আহত হন।
ওসি প্রিটন সরকার সেদিন বলেছিলেন, রিপন ও আল আমিন মেজবান খেয়ে রাতে বাসায় ফিরছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে একদল যুবক তখন তাদের ওপর হামলা চালায়।
ছুরিকাঘাতে আহত দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিপনকে মৃত ঘোষণা করেন।