বুধবার দেশের সব স্কুলে উৎসবের মধ্য দিয়ে চার কোটি ২৭ লাখ ৫২ হাজার ১৫৮ ছাত্রছাত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় ৩৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৯৭ কপি পাঠ্যবই।
সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া ডিএল কারণ উচ্চ বিদ্যালয়ে বই নিতে এসেছিল সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রয়েল দাশ।
এদিকে সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নগরীর অংকুর সোসাইটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের হাতে বই তুলে দিয়ে সেখানে বই উৎসব কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অংকুর সোসাইটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে মেয়র নাছির বলেন, “সরকারের রাজস্ব বাজেটের একটি বড় অংশ এই খাতে ব্যয় করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা-দীক্ষায় জ্ঞান-বিজ্ঞানে স্বনির্ভর করা।”
“অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের নিয়মিত স্কুলে আসা-যাওয়া, পড়ালেখার বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিলি বড়ুয়া, সহকারী প্রধান দিপ্তী সেন গুপ্ত এবং বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন বেলা ১১টায় নগরীর জামালখানে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এই আয়োজনে এসে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, “বছরের প্রথম দিন সারা দেশে একযোগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সকল শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়া বিরাট সাফল্য।
“শিক্ষার্থীরা বই পড়ে মানুষের মতো মানুষ হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন বই হাতে পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা।”
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শাহেদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, “মাধ্যমিক পর্যায়ে (ইবতেদায়ী ও মাদ্রাসাসহ) জেলার মোট ১১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৩ শিক্ষার্থী নতুন বই পাবে।
“মহানগরের ৬টি থানা ও ১৪টি উপজেলাসহ জেলার মোট ২ হাজার ৬৬টি মাধ্যমিক পর্যায়ের (মাদ্রাসাসহ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭১৬টি বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।”