‘মৃত্যুঞ্জয়ী রাতের শপথ-মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নাই’ শ্লোগানে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচিতে ছিল আলোর মিছিল, প্রদীপ প্রজ্জ্বালন, আলোচনা ও কবিতা পাঠ।
কর্মসূচির শুরুতে থিয়েটার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে যান সমবেতরা। সেখানে এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় সমাজবিজ্ঞানী অনুপম সেন বলেন, “একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার পাশপাশি অভিভাবক শূন্য করারও ষড়যন্ত্র ছিল। পরাজিত শক্তির দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশও ছিল এই হত্যাযজ্ঞে। একাত্তরের পুরো নয় মাসজুড়েই তারা বাংলাদেশে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।”
মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে বলতে হচ্ছে আজও জীবনের সর্বস্তরে আমরা বাংলা ভাষার প্রচলন করতে পারিনি। এজন্য আমাদের একযোগে রাজপথে নামতে হবে।”
অনুষ্ঠানে কবি কণ্ঠে কবিতা পাঠ পর্বে অংশ নেন কবি কামরুল হাসান বাদল, মনিরুল মনির ও কলকাতার মেঘ বসু।
দেশের গান পরিবেশন করে শ্রেয়সী রায়ের পরিচালনায় অভ্যুদয় সঙ্গীত দল।