বুদ্ধিজীবী দিবসে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রদীপ জ্বালিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যয় জানানো হয়েছে প্রমা আবৃত্তি সংগঠন আয়োজিত অনুষ্ঠানে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2019, 06:00 PM
Updated : 14 Dec 2019, 06:04 PM

‘মৃত্যুঞ্জয়ী রাতের শপথ-মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নাই’ শ্লোগানে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

কর্মসূচিতে ছিল আলোর মিছিল, প্রদীপ প্রজ্জ্বালন, আলোচনা ও কবিতা পাঠ।

কর্মসূচির শুরুতে থিয়েটার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে যান সমবেতরা। সেখানে এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

তারপর শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে হাতে হাতে জ্বলন্ত মোমবাতি নিয়ে জাতির সূর্যসন্তানদের স্মরণ করা হয়। এতে আমন্ত্রিত অতিথিদের পাশাপাশি চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক সংগঠক, শিল্পী, আবৃত্তি শিল্পী ও বিভিন্ন বয়সী মানুষ অংশ নেন। অগ্নিশিখায় সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার শপথ নেন সমবেতরা।

এ সময় সমাজবিজ্ঞানী অনুপম সেন বলেন, “একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার পাশপাশি অভিভাবক শূন্য করারও ষড়যন্ত্র ছিল। পরাজিত শক্তির দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশও ছিল এই হত্যাযজ্ঞে। একাত্তরের পুরো নয় মাসজুড়েই তারা বাংলাদেশে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।”

শহীদজায়া বেগম মুশতারি শফী বলেন, “আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অনেক আত্মত্যাগ। নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণও ছিল। বাংলার নারীরা জীবন-মান সব দিয়ে দেশের স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে আনতে ভূমিকা রেখেছিলেন।”

মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদ মিনারের পাদদেশে দাঁড়িয়ে বলতে হচ্ছে আজও জীবনের সর্বস্তরে আমরা বাংলা ভাষার প্রচলন করতে পারিনি। এজন্য আমাদের একযোগে রাজপথে নামতে হবে।”  

আয়োজক সংগঠন প্রমা’র সভাপতি রাশেদ হাসান বলেন, “শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে চেতনায় ধরাণ করার চেষ্টা হিসেবে আমাদের এ আয়োজন। জাতীয় দিবসগুলো পালনের মাধ্যমে শক্তি সঞ্চয় করে আমরা সামনের দুঃসময় পাড়ি দিতে চাই।”

অনুষ্ঠানে কবি কণ্ঠে কবিতা পাঠ পর্বে অংশ নেন কবি কামরুল হাসান বাদল, মনিরুল মনির ও কলকাতার মেঘ বসু।

দলীয় আবৃত্তিতে অংশ নেয় প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, চট্টগ্রাম আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র এবং কণ্ঠ নীড়ের শিল্পীরা।

দেশের গান পরিবেশন করে শ্রেয়সী রায়ের পরিচালনায় অভ্যুদয় সঙ্গীত দল।