অপরিপূর্ণ নবজাতককে অন্ধত্ব থেকে রক্ষায় দ্রুত চিকিৎসার পরামর্শ

অপরিপূর্ণ নবজাতকদের চোখের রেটিনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে, এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা না নিলে ছয় মাসের মধ্যে এ ধরনের শিশুর অন্ধত্বের শিকার হতে পারে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2019, 03:34 PM
Updated : 10 Dec 2019, 03:34 PM

চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মঙ্গলবার আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে চক্ষু ও শিশু বিশেষজ্ঞরা এই মত দেন।

‘বাংলাদেশ রোটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচুরিটি স্ক্রিনিং ও চিকিৎসা সেবা বিস্তার’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের প্রধান ডা. শাহানারা চৌধুরী বলেন, যেসব শিশু গর্ভধারণের পর ৩৭ সপ্তাহের আগে জন্মগ্রহণ করে তাদের অপরিপূর্ণ নবজাতক বলা হয়।

“অপরিণত শিশুর চোখে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে চোখের রেটিনার যে বিশেষ পরিবর্তন ও সমস্যা দেখা দেয় তাই রেটিনোপ্যাথি অব প্রি-ম্যাচুরিটি (আরওপি)। এটি অপরিপূর্ণ নবজাতকের রেটিনা ও রক্তনালীকে আক্রান্ত করে। দ্রুত চিকিৎসা না নিলে এধরনের শিশুর অন্ধত্ব হতে পারে।”

চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের সহকারী কনসালটেন্ট ডা. সাহেলা শারমিন উদাহরণ দিয়ে বলেন, এক দম্পতির অপরিপূর্ণ শিশু সুস্থভাবে জন্ম নিয়েছিল, এতে ওই দম্পতি খুবই খুশি হন। কিন্তু কিছুদিন পর তারা শিশুটি নিয়ে চিকিৎসকের কাছে ছুটে যান। কারণ ‍ওই শিশু ঠিকভাবে মার দিকে তাকাচ্ছিল না।

“শিশুর চোখে কোনো সমস্যা হচ্ছে বুঝতে পেরে তারা চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। অপিরপূর্ণ শিশুর আরওপি’র লক্ষণ দেখা যেতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে রেটিনা ছিঁড়ে গিয়ে শিশু পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যেতে পারে।”

এজন্য অবশ্যই জন্মের ৩০ দিনের মধ্যে অপরিপূর্ণ নবজাতকের চক্ষু পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, তাহলে শিশুকে সম্ভাব্য অন্ধত্ব থেকে বাঁচানো সম্ভব।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রখেন চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন।

আলোচনায় অংশ নেন অরবিস ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শামীম হাসান, চমেকের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাছির উদ্দিন মাহমুদ, চমেকের হেড অব নিউনেটাললোজি অধ্যাপক ডা. জগদীশ চন্দ্র দাশ প্রমুখ।