সোমবার সকালে এ ওয়াটার বাসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট এলাকা থেকে বিমানবন্দর সংলগ্ন পতেঙ্গা জেটি পর্যন্ত এ ওয়াটার বাস চলবে। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ ওয়াটার বাসে জনপ্রতি ভাড়া ৩৫০ টাকা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সহায়তায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এসএস ট্রেডিং এই ওয়াটার বাস চালু করছে।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবাব হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ওয়াটার বাস সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়েছে।
বিমানবন্দরমুখী যাত্রীরা যানজট এড়াতে নদীপথে এ বিকল্প যাত্রা বেছে নেবে বলে আশা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের।
ওয়াটার বাস সার্ভিস প্রকল্পটি বন্দরের হলেও এসএস ট্রেডিং এটি পরিচালনা করবে এবং পর্যবেক্ষণে থাকবে চট্টগ্রাম ড্রাইডক। এজন্য বছরে চট্টগ্রাম বন্দরকে ৭০ লাখ টাকা করে দেবে এসএস ট্রেডিং।
নগরীর সদরঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীরে তৈরি জেটি থেকে ওয়াটার বাস ছেড়ে ১৮ থেকে ২০ মিনিটে ১৫ নম্বর ঘাট সংলগ্ন পতেঙ্গা জেটিতে থামবে। প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রমের পর পতেঙ্গা জেটি থেকে শাটল বাসে করে যাত্রীদের এয়ারপোর্ট পৌঁছে দেওয়া হবে এসএস ট্রেডিংয়ের পক্ষ থেকে।
সাবাব হোসেন বলেন, “সবমিলিয়ে সদরঘাট থেকে একজন যাত্রীর বিমানবন্দরে পৌঁছতে সময় লাগবে ২৫ মিনিটের মতো।”
সাবাব বলেন, প্রতিদিন দুটি ওয়াটার বাস সকাল সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ১১ বার করে যাওয়া-আসা করবে।
প্রতিটি ওয়াটার বাসে ২৫ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। বিমানবন্দরমুখী যাত্রীদের লাগেজ ওয়াটারবাস কর্তৃপক্ষের কর্মীরা বহন করবে।
শুরুতে দুটি ওয়াটার বাস যাতায়াত করলেও জানুয়ারিতে আরও দুটি ওয়াটার বাস সংযুক্ত হবে। শুরুর দিকে শুধুমাত্র বিমানযাত্রীদের পরিবহনের লক্ষ্য থাকলেও নতুন দুটি যুক্ত হওয়ার পর সাধারণ পর্যটকরাও ভ্রমণের সুযোগ পাবেন বলে এসএস ট্রেডিংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।