আগামী বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হবে। এবারের সমাবর্তনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর করা দুই হাজার ২৩১জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হবে। পরদিন শুক্রবার চুয়েটের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হবে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিশ্ববিদ্যাল মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
এবারের সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রচার ও মিডিয়া কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আসিফুল হক।
তিনি বলেন, এবারের সমাবর্তনে ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা অর্জন করা শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন। এর মধ্যে স্নাতক দুই হাজার ১৪৮ জন, ৭৯ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী রয়েছেন।
এবারে চার শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এরা হলেন- ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ই এম কে ইকবাল আহমেদ, একই বিভাগের রুবায়া আফসার, সঞ্জয় বড়ুয়া এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. রাশেদুর রহমান।
শুক্রবার সুবর্ণজয়ন্তির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম।
১৯৬৮ সালে চট্টগ্রাম শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ১৭১ একর আয়তন জুড়ে বিআইটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৩ সালে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।