এরা হলেন- সাগর চৌধুরী ও সত্যসুন্দর দে। দুজনই এনআইডির একটি প্রকল্পের অধীনে ঢাকায় কর্মরত।
রোববার তারা চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে আদালত পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, এই দুজন গত ২৯ অক্টোবর হাই কোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন।
“আজ তারা আত্মসমপর্ণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।”
নির্বাচন কমিশনের এই দুই কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া জানান।
রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্তির অভিযোগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের ডবলুমরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের সাপোর্ট স্টাফ জয়নাল আবেদিন, তার দুই সহযোগী বিজয় দাশ ও তার বোন সীমা দাশকে আটক করে পুলিশ।এসময় তাদের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশনের গায়েব হওয়া একটি ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়।
আটকের পর জয়নাল জালিয়াত চক্রের সঙ্গে জড়িত সত্যসুন্দর ও সাগরের নাম প্রকাশ করে। তাদের মাধ্যমে জয়নাল রোহিঙ্গাদের এনআইডি তৈরি করে দিতেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
ওই ঘটনায় পরদিন কোতয়ালী থানায় ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসার পল্লবী চাকমা বাদি হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। চট্টগ্রামের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট মামলার তদন্ত করছে।
মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।