শনিবার ভোরে স্থানীয় বাসিন্দারা হাতিগুলোকে দেখতে পায়। হাতির পালটি কয়েকবার আশপাশের ফসলি জমিতে নেমে আসায় র স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
দিনভর স্থানীয় প্রশাসন, বন বিভাগ, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন হাতিগুলোকে সরানোর চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ধারণা, প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার দূরের করলডেঙ্গা পাহাড় থেকে হাতিগুলো লোকালয়ে এসেছে।
কধুরখীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিচ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোরে নামাজ পড়তে গিয়ে এক ব্যক্তি হাতিগুলোকে দেখতে পায়। পূর্ব কধুরখীলের বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় সাতটি হাতি আছে।
“এরমধ্যে চারটি বাচ্চা হাতি। এখানে আশপাশে পাহাড় নেই। সম্ভবত জ্যেষ্ঠপুরা অথবা দূরের করলডেঙ্গার পাহাড় থেকে হাতিগুলো এসেছে। এই এলাকায় জীবনে আমরা হাতি দেখিনি। এতদূর কিভাবে এলো সেটা বুঝতে পারছি না।”
বোয়ালখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন বলেন, বনবিভাগের লোকজন চেষ্টা করেছে হাতিগুলো সরাতে। সন্ধ্যা পর্যন্ত সেটা সম্ভব হয়নি।
“সাতটি হাতি দেখেছি, তবে স্থানীয়দের দাবি পালে মোট নয়টি হাতি আছে। করলডেঙ্গা পাহাড় ওই এলাকা থেকে প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার দূরে।”
স্থানীয় বাসিন্দা বদিউল আলম বলেন, হয়ত পথ হারিয়ে অথবা পাকা ধানের গন্ধে হাতি এখানে চলে এসেছে। করলডেঙ্গা পাহাড় থেকে এখানে আসতে কমপক্ষে চারটি ইউনিয়ন পেরিয়ে আসতে হয়।
এভাবে হাতি নামায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত বলে জানান তিনি।