শুক্রবার দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সিএমপির দক্ষিণ জোন নগরীর আন্দরিকল্লা শাহী জামে মসজিদ, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, বায়েজিদ এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ প্রচারপত্র, নগদ দুই লাখ ৮২ হাজার টাকা, দুটি ল্যাপটপ, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও ট্রেনিং ম্যানুয়াল উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ১৫জন হলেন- ওয়ালিদ ইবনে নাজিম (১৮), ইমতিয়াজ ইমাইল (২৫), আবদুল্লাহ আল মাহফুজ (৩০), আবুল মোহাম্মদ এরশাদুল আলম (৩৯), নাছির উদ্দিন চৌধুরী (২২০, নাজমুল হুদা (২৭), লোকমান গণি (২৯), মো. করিম (২৭), আবদুল্লাহ আল মুনিম (২২), কামরুল হাসান রানা (২০), আরিফুল ইসলাম (২০), আজিম উদ্দিন (৩১), আজিমুল হুদা (২৪), ফারহান বিন ফরিদ (২৩) ও মো. সম্রাট (২২)।
শনিবার সকালে সিএমপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) আমেনা বেগম।
তিনি বলেন, “নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনটি এখনও সক্রিয়। গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষার্থী। তাদের পরিবারের সদস্যরা জানত, তারা বিভিন্ন বিষয়ের কোচিং করার জন্য বাসা থেকে বের হচ্ছে। কিন্তু তারা হিযবুতের কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ছিল।”
গ্রেপ্তার আবদুল্লাহ আল মাহফুজ (৩০) নোভারটিস ফার্মাসিউটিক্যালসের চট্টগ্রামের টেরিটরি ম্যানেজার। তিনি হিযবুতের চট্টগ্রাম শাখার দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা বলে জানায় পুলিশ।
আমেনা বলেন, শুক্রবার দুপুরে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ এলাকা থেকে হিযবুতের দুইজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে চান্দগাঁও এলাকার খদিজা ম্যানশনে অভিযান চালিয়ে গোপন বৈঠক থেকে মহানগর প্রধান এরশাদসহ ১১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে পাঁচলাইশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে একজন এবং পলিটেকনিক এলাকা থেকে অপরজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রিমান্ড
এদিকে হিজবুত তাহরীরের গ্রেপ্তার ১৫ সদস্যকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু ছালেহ মো. নোমানের আদালতে শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়।
এদের মধ্যে হিজবুতের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার প্রধান আবুল মোহাম্মদ এরশাদুল আলমকে পাঁচদিন এবং ১৪ জনকে তিনদিন করে রিমান্ড দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার কাজী শাহাবুদ্দিন আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১৫ জনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হলে শুনানি শেষে আদালত এরশাদুল আলমকে পাঁচ দিন এবং অন্য ১৪ জনের প্রত্যেককে তিনদিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন।