বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক শুরুর পরপরই চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন জেলার বাস চলাচল শুরু হয়ে যায়। আর ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসার পর স্বাভাবিক হতে শুরু করে পণ্য পরিবহন।
বৃহস্পতিবার নগরীর দামপাড়ায় সেন্টমার্টিন পরিবহন বাসের কাউন্টার ব্যবস্থাপক নাজির আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাত নয়টা থেকে ঢাকাগামী বাস চলা শুরু হয়। সকালেও সব বাস ছেড়ে গেছে।
সোহাগ পরিবহনের ব্যবস্থাপক মো. আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, রাত থেকে দেশের নানা গন্তব্যে তাদের বাসগুলো ছেড়ে গেছে।
এদিকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে যাওয়া এবং রপ্তানি পণ্যবাহী গাড়ি বন্দরে আসতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক।
“পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক-কর্ভাড ভ্যান ও প্রাইম মুভার বন্দরের আশপাশেই ছিল। ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর থেকে তারা পণ্য পরিবহন শুরু করেছে।
“বন্দরের জেটিগুলোতে কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার নিয়ে যানবহান বন্দর ছেড়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি রপ্তানি পণ্যবাহী যানবাহনও বন্দরে আসছে।”
প্রাইম মুভার ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, “আমাদের গাড়ি চলছে। বন্দর এবং অফডক থেকে পণ্য পরিবহন শুরু হয়ে গেছে। কোথাও কোনো সমস্যা নেই।”
সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে বুধবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ধর্মঘট পালনকারী শ্রমিকরা নগরীর বিভিন্ন প্রবেশ পথে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত যান চলাচলেও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।
পাশাপাশি ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের ভিতর জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা চললেও বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে কোনো গাড়ি বুধবার দিনের বেলায় বের হয়নি। পাশাপাশি রপ্তানি পণ্যবাহী যানবাহনও বন্দরে প্রবেশ করেনি। এতে ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন।