বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে পুনর্মিলনী আয়োজনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, “২১ নভেম্বর বিকাল তিনটায় নগরীর চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হবে প্রথম পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিকতা।”
এদিন সিআরবি শিরিষ তলায় শোভাযাত্রা শেষে অনুষ্ঠিত হবে বাউল গান।
পরদিন সকালে নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার পুনর্মিলনীর উদ্বোধন করবেন।
ওই দিন নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা ছাড়াও সাবেক উপাচার্যদের সম্মাননা, স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ভোজ ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
মাহবুব বলেন, “ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম থেকে ৪৯ ব্যাচের আট হাজারেরও বেশি প্রাক্তন শিক্ষার্থী অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হয়েছেন।”
সদস্য হওয়ার এ প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সাবেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া নিবন্ধন ফি দিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের স্থায়ী তহবিল গঠন করা হয়েছে।
“আর স্পন্সরের টাকা দিয়ে করা হচ্ছে দুই দিনব্যাপী এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান।”
অ্যাসোসিয়েশন গঠনের উদ্দেশ্য তুলে ধরে চবির এই সাবেক শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী নেতা বলেন, “অনুষ্ঠান করা কিংবা তহবিল সংগ্রহ অ্যাসোসিয়েশনের কাজ নয়। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা অ্যালামনাইরা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের সাথে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষনিক যোগাযোগ থাকে।”
পাশাপাশি নবীন গ্রাজুয়েটদের কর্মজীবনে ঢোকার ক্ষেত্রে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নানা ধরনের সহায়তা প্রদান করবে বলে জানান তিনি।
মাহবুব বলেন, “ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ও অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পাঁচটি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বার্ষিক ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাবেক মুখ্য সচিব আব্দুল করিম, পুনর্মিলনী কমিটির আহ্বায়ক আলাউদ্দিন মোহাম্মদ নাসিম, সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন।
২০১৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান নিয়ে সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জেগেছিল।
এসময় বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন করার আগ্রহ প্রকাশ করতে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন’ আত্মপ্রকাশ করে।
নগরীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটে সংগঠনের জন্য বরাদ্দ করা অফিস কক্ষ থেকে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান হারুণ, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমদ, সাইফুদ্দিন সাকী, দাউদ আব্দুল্লাহ লিটন, শাহজাহান চৌধুরী, অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, এবিএম আবু নোমান, নাজিম উদ্দিন শ্যামল।