‘কোপ খেয়েও’ সন্ত্রাসীকে ছাড়েননি ওসি, পরে অস্ত্র উদ্ধার

চট্টগ্রামে খুন, ডাকাতিসহ ১৭ মামলার আসামিকে ধরতে গিয়ে তার ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উল্লাহ, এর পরেও ওই সন্ত্রাসীকে ধরে অনেকগুলো অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করেছেন তারা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2019, 12:59 PM
Updated : 20 Nov 2019, 12:59 PM

বুধবার ভোর রাতে রাউজান উপজেলার পূর্ব রাউজান রাবার বাগান সংলগ্ন ঘোড়া সামছুর টিলায় এই  অভিযানে গ্রেপ্তার মো. আলমগীর (৪১) রাউজানে ‘আলম ডাকাত’ নামে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে দুটি খুন, পাঁচটি ডাকাতি, পাঁচটি অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় রাউজান, নগরীর পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁও থানায় ১৭টি মামলা আছে।

আলমগীর যুদ্ধাপরাধে ফাঁসি হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী সন্ত্রাসী বিধান বড়ুয়া ও র‌্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত জানে আলমের সহযোগী ছিলেন বলে ওসি কেপায়েত উল্লাহ জানিয়েছেন।

অভিযানের সময় ওসি কেপায়েত ছাড়াও এসআই সাইমুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. কামাল ও হামিদ হোসেন আহত হয়েছেন।

পরে আলমগীরকে নিয়ে সামছুর টিলায় অভিয়ান চালিয়ে ১০টি শট গান, ছয়টি পাইপ গান, সাত রাউন্ড গুলি, গ্যাস গান সদৃশ একটি অস্ত্র ও ধারালো বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি কেপায়েত।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজা খেটে এক মাস ২০ দিন আগে আলমগীর কারাগার থেকে ছাড়া পান।

“মঙ্গলবার গভীর রাতে পূর্ব রাউজান রাবার বাগানে ঘোড়া সামছুর টিলায় পুরাতন আস্তানায় আলমগীর অস্ত্র নিতে এসেছে শুনে অভিযানে যাই। এ সময় পুলিশ দেখে আলমগীরের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছুড়লে দুইপক্ষের গুলি বিনিময়ের পর সহযোগীরা পালিয়ে গেলেও আলমগীরকে ধরে ফেলা হয়।

‘ধরে ফেলার পর আলমগীর তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করলে আমার ডান হাতে জখম হয়।”

ছুরিকাঘাতে ওসি কেপায়েতের হাতের একটি আঙুলের হাড়ে চিড় ধরেছে।

এছাড়া আলমগীরের সহযোগীদের ছোড়া ছররা গুলিতে অপর তিন পুলিশ সদস্য আহত হন বলে জানান ওসি।