ধর্মঘটের প্রভাব চট্টগ্রাম বন্দরে, ব্যবসায়ীরা শঙ্কায়

সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য এবং ডিপোগুলো থেকে রপ্তানিপণ্যের কন্টেইনার পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2019, 07:29 AM
Updated : 20 Nov 2019, 08:09 AM

প্রতিদিনের মতো বুধবার বন্দরের জেটিগুলোতে আমদানি পণ্যের কন্টেইনার নামানোর কাজ স্বাভাবিকভাবে চললেও পণ্য নিতে সকাল থেকে কোনো ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান বন্দরে ঢোকেনি।

সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন বিমানবন্দর সড়কের বিভিন্ন স্থানে ও আশপাশের এলাকায় বন্ধ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের সারি দেখা গেছে।

পরিবহন ধর্মঘট দীর্ঘায়িত হলে বন্দরে অচলাবস্থার সৃষ্টির পাশাপাশি রপ্তানি বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বন্দরের জেটিতে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠা-নামা চলছে। কিন্তু কোনো ট্রাক-কভার্ড ভ্যান বন্দরে প্রবেশ করেনি।

“এভাবে চলতে থাকতে বন্দরের ভেতর ডেলিভারির অপেক্ষায় থাকা কন্টেইনারের সংখ্যা বেড়ে যাবে। আমাদের ধারণ ক্ষমতা ৪৯ হাজার। বর্তমানে ৩৫ হাজার কন্টেইনার বন্দরের ভেতরের ইয়ার্ডগুলোতে আছে। দৈনিক বন্দর থেকে তিন-চার হাজার কন্টেইনার ডেলিভারি হয়।”

এদিকে বন্দরের পাশাপাশি ডিপোগুলো থেকেও রপ্তানি পণ্যের কন্টেইনার পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে।

কন্টেইনার বহনকারী গাড়ি প্রাইম মুভার ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর বলেন, “সকাল ১০টার পর থেকে আমাদের কোনো প্রাইম মুভার আর চলাচল করছে না।”

সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেনও জানালেন একই শঙ্কার কথা।

“এভাবে ধর্মঘট চলতে থাকলে বন্দর বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। রপ্তানি বাণিজ্য হুমকিতে পড়বে। পাশাপাশি মিল-কারখানায়ও কাঁচামালের অভাবে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বিজিএমইএ পরিচালক অ্যাপোলো স্যুইং অ্যান্ড গার্মেন্টসের ব্যবস্থপানা পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশের মতেট্রাক, কভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল না করায় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে।

বুধবার সকালে তার নিজের প্রতিষ্ঠানের পণ্য ডেলিভারির কথা থাকলেও ধর্মঘটের কারণে তা সম্ভব হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “সকাল থেকেই বন্দরে রপ্তানিমুখী পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে পারছে না। বন্দর থেকে কন্টেইনার ও অন্য পণবাহী গাড়ি বের হতে পারছে না। এতে বন্দরের ওপর চাপ বাড়বে।

“এছাড়া কাঁচামাল না পেলে উৎপাদনও বিঘ্নিত হবে। সবদিক কলাপস করবে। এজন্য দ্রুত ধর্মঘট প্রত্যাহার হওয়া জরুরি।”

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের সিংহভাগ আমদানি-রপ্তানি পণ্য সমুদ্রপথে আনা-নেওয়া করা হয়।