চমেকে বিএনপি নেতাদের নিয়ে লিফটে গড়বড়

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়া বিএনপি নেতারা সেটি ‘ছিঁড়ে’ পড়ার দাবি করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তেমন কিছু ঘটেনি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2019, 12:04 PM
Updated : 18 Nov 2019, 01:28 PM

সোমবার বেলা ২টার দিকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পাথরঘাটা বিস্ফোরণের আহতদের দেখতে সেখানে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ চট্টগ্রামে দলটির অন্তত ১০ জন শীর্ষ নেতা।

আহতদের দেখে নামার সময় হাসপাতালের পাঁচ তলা থেকে লিফটে ওঠেন তারা।

লিফটে থাকা চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ও ড্যাবের সহ-সভাপতি ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা ১০ জন নেতা ও কয়েকজন সাংবাদিক হাসপাতালের পঞ্চম তলা থেকে লিফটে নিচে নামার সময় তৃতীয় তলায় এসে ঝাঁকি খান, এরপর একদম নিচে নেমে যায় লিফটটি।

“এসময় লিফটটি নিচতলার আরও কয়েক ফুট নিচে নেমে যায়। এতে আমরা সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তবে কেউ আহত হয়নি।”

আমীর খসরুর ব্যক্তিগত সহকারী মো. সেলিম জানান, ওই সময় লিফটে আমীর খসরু ছাড়াও ছিলেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি  শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম রাশেদ, যুবদলের সভাপতি কাজী বেলাল।

সেলিম জানান, নেতারা লিফটে নামলেও তিনিসহ আরও কয়েকজন হেঁটে নেমেছেন। এসময় খবর পেয়ে তারা দ্রুত অন্য একটি লিফটের লিফটম্যানকে খুঁজে নেন। তিনি গিয়ে লিফট খুলে নেতাদের বের করে আনেন।

“আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় লিফট বিকল হয়েছে। তবে পরে জানতে পারি লিফটটি তার ছিঁড়ে গেছে।”

এদিকে চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লিফটের তার ছেঁড়ার মতো কিছু হয়নি। লিফটে মানুষ বেশি থাকায় সেটি ঝাঁকি দিয়ে নিচে নেমে যায়।”

চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলামও বলেন, প্রতিদিন শত শত লোক এসব লিফট ব্যবহার করে। এরকম কোনো ঘটনা ঘটে না।

“উনারা যা বলছেন, সেরকম কিছু হয়নি। লিফট ছিঁড়ে পড়ার কোনো ঘটনাই ঘটেনি।”